সেবা ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে সন্তানের জন্য মায়ের দেয়া কিডনী থেকে শিশুর দেহে এই হাসপাতালে প্রথমবারের মত সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় (১৭ আগস্ট ২০২৩) সুপার স্পেশলাইজড হাসপাতালের ৬ষ্ঠ তলায় এই কিডনি দাতা ও গ্রহীতার ছাড়পত্র প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে মায়ের দেয়া কিডনী থেকে শিশুর দেহে সফল কিডনি প্রতিস্থাপন, যে সব রোগের চিকিৎসার জন্য রোগীরা বিদেশে যায় সেইসকল চিকিৎসাসেবা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে দেয়া হবে:
বিএসএমএমইউ উপাচার্য
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের রোগী যেন দেশের বাইরে না যায়, সে লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল কাজ করছে। দেশের মানুষ ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষ করে কিডনি, লিভার, কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্টের জন্য বিদেশে যায়। আরো বিদেশে যায় ক্যান্সার, ইনফার্টিলি, জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট, আর্থোস্কপিক, স্টেমসেল থেরাপি, রোবটিক সার্জারি, বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট, হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করার প্রয়োজনে। আমরা এসব চিকিৎসা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে শুরু করতে চাই। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকে আমাদের অন্যরকম একটি দিন। আমাদের সামনে কিডনি দাতা মা ও কিডনি গ্রহীতা মেয়ে হাসিমুখে বসে আছেন। এমন হাসিমাখা মুখ সকল রোগীর ক্ষেত্রে আমরা দেখতে চাই।
সুপার স্পেশলাইজড হাসপাতাল সূত্র জানায়, ফরিদপুরের বাসিন্দা ১৭ বছরের শিশু শ্রাবণী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ফেইলর হয়ে অসুস্থ ছিলেন। তার মা ৪৫ বছর বয়সী মনোয়ারা মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে এসে নিজের একটি কিডনি দান করার সম্মতি প্রদান করেন। কিডনি দাতা ও গ্রহীতার সকল আইনী প্রক্রিয়া শেষ হবার পর ১লা আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। এ কিডনি প্রতিস্থাপনে নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল। এ্যানেসথেশিয়া বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ডা. দেবব্রত বনিক, উক্ত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবাশীষ বনিক, শিশু কিডনী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম, ইউরোলজি বিভাগের রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটের অধ্যাপক ডা. তৌহিদ মোঃ সাইফুল হোসেন দিপু, সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেনসহ ৩১ জন চিকিৎসক এই কিডনী প্রতিস্থাপনের বিভিন্ন চিকিৎসাসেবার কার্যক্রমে অংশ নেন।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের রোগী যেন দেশের বাইরে না যায়, সে লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল কাজ করছে। দেশের মানুষ ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষ করে কিডনি, লিভার, কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্টের জন্য বিদেশে যায়। এছাড়া ক্যান্সার, ইনফার্টিলি, জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট, আর্থোস্কপিক, স্টেমসেল থেরাপি, রোবটিক সার্জারি, বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট, হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের জন্য বিদেশ যায়। আমরা এসব চিকিৎসা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে শুরু করতে চাই। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন।
অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকে আমাদের অন্যরকম একটি দিন। আমাদের সামনে কিডনি দাতা মা ও কিডনি গ্রহীতা মেয়ে হাসিমুখে বসে আছের। এমন হাসিমাখা মুখ সকল রোগীর ক্ষেত্রে আমরা দেখতে চাই।
এ অনুষ্ঠানে কিডনি গ্রহীতা ও দাতাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও কেকে কেটে বিদায় জানানো হয়।হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাদের ওষুধও তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।