[১০৬৩] মেলান্দহে ভাই-বোন-মায়ের বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে

S M Ashraful Azom
0

 : জামালপুরের মেলান্দহে ভাই-বোন-মায়ের সাথে বিরোধ অবশেষে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আদ্রা ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামের বিরোধের সুযোগটি লুফে নিচ্ছে ভিলেজ পলিট্রিক্স’র মোড়লরা।

মেলান্দহে ভাই-বোন-মায়ের বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে



জানা গেছে, ২০১৮ সালে তেঘরিয়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের স্ত্রী রহিমা বেগম (৮০)’র সমুদয় পৈত্রিক সম্পত্তি ছেলে-মেয়েরা কৌশলে হেবামূলে লিখে নেন। এ ঘটনায় মা রহিমা বেগম আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে সন্তানরা মায়ের সম্পত্তি ফেরতের ছলেনামা প্রদান করেন। কিন্তু রহিমা বেগমের আরেক ছেলে আব্দুল হক (৪২) এই সম্পত্তি ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানালে নতুনভাবে মোকদ্দমার উদ্ভব হতে থাকে। 

ওদিকে মায়ের দায়েরকৃত মামলার বাস্তবতা বাস্তবতা জানতে বিজ্ঞ আদালত এডভোকেট রাশেদুল ইসলামকে কমিশন নিয়োগ করেছেন। সন্তানদের বিরুদ্ধে মায়ের মামলার প্রেক্ষিতে ছেলে আব্দুল হক এবং তার স্ত্রী শেফালি বেগম (৩৫) বাদি হয়ে অন্যান্য ভাই-বোন-স্বজনদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা দায়ের করেন। 


এ ব্যাপারে বাদি আব্দুল হক জানান-সর্বশেষ ৩ আগস্ট মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের করেছি। আব্দুল হকের ভাই-ভাতিজা ও প্রতিবেশিদের বিরুদ্ধে দুই শতাধিক গাছ কাটাসহ মারপিটের অভিযোগ তুলা হয়েছে। এ ক্ষোভে ৯ আগস্ট আব্দুল হক এবং তার স্ত্রী শেফালি বেগমকে মারপিট করেছে। আহত স্ত্রীকে আলমগীর হোসেনের অটো গাড়িতে তোলে জামালপুর হাসপাতালে ভর্তি করি। এই মর্মে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। 


এ বিষয়ে আব্দুল হকের মা রহিমা বেগম জানান-কোন ধরণের মারামারি হয়নি। অটোচালক আলমগীর হোসেন (৩২) জানান-গায়ে কাদামাখা অবস্থায় শেফালী বেগমকে আমার গাড়িতে তোলে দেয়া হয়। আমি কাওকে রক্তাক্ত জখম দেখিনি।


আব্দুল হকের সহোদর ভাই আব্দুর রহিম জানান-ওইদিন একটি মামলার হাজিরা দিতে আমরাও দুই পক্ষই                                             জামালপুর কোর্টে ছিলাম। মারামারির অভিযোগ পরিকল্পিত এবং সাজানো। তিনি আরো জানান-মা রহিমা বেগমের পৈত্রিক সম্পত্তি-আমরা লিখে নেয়ার আগে থেকেই বন্ধকী চুক্তিনামা মূলে ৮০ শতাংশ জমির চাষাবাদ করতেন তেঘরিয়া গ্রামের জিয়াউল হক (৪২) গংরা। 


মায়ের বন্ধকীর টাকা ফেরত না দিয়েই গত ৯ আগস্ট পরিকল্পিতভাবে আমার ভাই আব্দুল হক ও তার স্ত্রী শেফালি বেগম ওই জমি দখল করতে যায়। জমি দখল করতে না পেরে নিজেরাই রোপাআমন ক্ষেতের কাদায় গড়াগড়ি দিয়ে কর্দমাক্ত করে রাস্তায় পড়ে থাকে। মিথ্যা মারামারির সাজানো আরেকটি মামলা দায়েরের চক্রান্ত করছে। তদন্ত করলেও সত্যতা পাবে।


আব্দুল হকের দাবি এই জমি আমার মা আমাকে লিখে দিয়েছেন। জিয়াউল হক গংরা আমার জমিতে যেতে দেয় না। এলাকাবাসি বলছেন, এটিই বিরোধের অন্যতম কারণ। 


প্রত্যক্ষদর্শী রফিকুল ইসলাম (৪০), আব্দুল মালেক (৫০)সহ অন্যরাও জানান-৯ আগস্ট কোন মারামারি হয়নি। উজ্জল জমিতে ধান রোপন করতে ছিল। আব্দুল হক এবং তার স্ত্রী শেফালি বাধা প্রদান করেন। তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। এরপর আব্দুল হক রোপিত ধানের কিছু চারা উত্তোলন করেন। তার স্ত্রী শেফালি কাদার মধ্যে গড়াগড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ল। কিছুক্ষণ পরেই দেখলাম পুলিশ।


মামলার আসামী আব্দুল হকের মামাত ভাই হাবিবুর রহমান জানান, প্রতিবেশি হানিফ উদ্দিন এবং আমার বিরুদ্ধে তার স্ত্রী শেফালি বেগম নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। আদালতে মামলাটি মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। আমরা মামলায় হয়রানি এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করেছি। মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। মজার বিষয় হচ্ছে আব্দুল হক এবং তার স্ত্রী শেফালির দায়েরকৃত প্রতিটি মামলায় ঘুরেফিরে ৫জনকেই স্বাক্ষী করা হয়।


 আব্দুল হকের প্রত্যেকটি মামলার স্বাক্ষী হবার বিষয়ে ৫জনের অন্যতম স্বাক্ষী আব্দুর রাজ্জাক জানান-আমরা ঘটনা জানি। তাই আমাদের সাক্ষী দেয়। 

আব্দুল হকের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহিদ হাসান বলেন-মামলার তদন্তের স্বার্থে কিছুই বলা যাবে না।

 


শেয়ার করুন

সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top