জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হিঙ্গণরায় মৌজার ডাকবাংলা পাড়াস্থ নিজ বাস ভবনে বৃহত্তর রংপুর বিভাগের কৃতীমান পুরুষ হোমিও চিকিৎসক ডা: জি এম রফিকুল ইসলাম। তার ৩৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী।
২২ আগষ্ট দুপুরে পারিবারিক ভাবে তার মৃত্যুবাষিকী পালন করা হয়। ডা: জি এম রফিকুল ইসলাম জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ থানার বিলেরপাড় গ্রামে জি এম হাফেজ উদ্দিনের পরিবারে ছবিজন বেওয়ার গর্ভে জন্মগ্রহন করেন। জি এম রফিকুল ইসলাম গ্রামের অন্যান্য সহপাঠিদের চেয়ে সব সময় ছিল ব্যাতিক্রম। তার মেধার প্রখরতারয় এলাকায় বেশ প্রশংশা অর্জন করেন। এলাকার সাধারণ লোকজন তাকে খুব ভালবাসত। পড়াশুনার তাগিতে সে কুড়িগ্রামে পাড়ি জমান। কুড়িগ্রামে এসে অন্যের বাড়িতে লজিং থেকে পাড়াশুনার পাশাপশি হোমিও চিকিৎসার উপর ডিগ্রী নেন। কুড়িগ্রামে তার কর্মজীবন শুরু হয়। কর্মময় জীবনে পাকিস্থান আমলের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে একজন দক্ষ এবং মেধাসম্পন্ন হোমিও চিকিৎসক হিসেবে এখানকার সাধরণ মানুষের মনে ব্যাপক অস্থা অর্জন করেন। তার হাতেই কুড়িগ্রামে একটি দি রইচ মেডিকেল কলেজ নামে হোমিক কলেজ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই কলেজে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে প্রফেসরের দায়িত্ব পালন করেন। এখান থেকে অসংখ্য মেধাসম্পন্ন চিকিৎসক তৈরী হয়ে দেশের সেবায় তার আজ বিভিন্ন জায়গায় সুনামের সহিদ কাজ করছে। ডা: জি. এম. রফিকুল ইসলাম শুধু একজন হোমিও চিকিৎসক ছিলেন না সময় এ মঙ্গাকবলিত জনপদের মানুষের একত্রিত করা, সামাজিক কুসংস্কার দুর করা, স্বল্প খরচে স্বাস্থ্য সেবা চিশ্চিত করা সহ কবিরাজি চিকিৎসা করতেন। এই কৃতিকাম পুরুষ অন্যের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখা অবস্থায় গত ১৯৮৯ সালে ২২ আগষ্ট মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি একজন স্ত্রী, পাঁচপুত্র, তিন কন্যসহ অসংখ গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। পিতার রেখে যাওয়া রফিক হোমিও কোং তার পুত্র সাংবাদিক ডা: জি এম ক্যাপ্টেন আজও ধরে রেখেছেন। অন্য সন্তানরা পিতার দেখানো পথ অনুসরণ করছেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।