সেবা ডেস্ক : জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এম এ আলীম সরকারের সভাপতিত্বে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাষ্ট্রচিন্তক, রেনেসাঁস সাধক ও বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির তাত্বিক নেতা অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক প্রণীত ২৮ দফার ভিত্তিতে বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির (বিজিপি) আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ২৫ আগস্ট সকাল ১০টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় সদস্য মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন হাফেজ ক্বারী মাওলানা আব্দুর রহিম পীরসাহেব।
বিশেষ আলোচক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আব্দুল বাতেন বলেন, দেশ স্বাধীন হলেও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
প্রধান আলোচক হিসেবে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাষ্ট্রচিন্তক, রেনেসাঁস সাধক ও বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির তাত্বিক নেতা অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, ১৯৮০ দশকে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনকালে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বামপন্থী দলগুলোর কোন সদর্থক রাজনৈতিক বক্তব্য দিন না। ওই সময়ের আন্দোলনে প্রধান স্লোগান ছিল, “একদফা এক দাবি এরশাদ তুই কবে জাবি”। তখন বিএনপি জামাতের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে এবং বেগম খালেদা জিয়া হন প্রধানমন্ত্রী। কোন পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক সম্ভাব্য ছাড়া কেবল সরকার উৎখাতের ক্ষমতা দখলের লক্ষ্য নিয়া জামাতের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে খালেদা জিয়া ভালো কিছু করতে পারেনি। নির্বাচনের সুক্ষ কারচুপি হয়েছে বলে আওয়ামী লীগ নতুনভাবে সরকার উৎখাতের আন্দোলন চালাতে থাকে। তখন থেকে অনেকে মত প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ সা¤্রাজ্যবাদের দ্বারা নিঃরাজনীতিকরণের, বিরাজনীতিকরণের, ডিপলিটিসাইজেশনের কার্যক্রম চালাচ্ছে। রাজনীতির চরম দৈন্যদশা দেখে তিনি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বামপন্থি দলগুলোর অনেক নেতার সঙ্গে বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে আলাপ করে রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক চেতনা জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। রাজনৈতিক মহলে রাজনৈতিক উন্নতির কোন আগ্রহ ও আকাঙ্খা খুঁজে না পেয়ে তিনি রাজনৈতিক সম্ভাবনাকে চরম দুররাবস্থায় পড়ে গেছে বলে মনে করেন। তখনই উপলব্ধি করেন যে, স্বল্প সময়ে, স্বল্প চেষ্টায় প্রকৃত রাজনীতি সূচনা করা সম্ভব হবে না। তখন ২০০৫ সালের শুরু থেকে নতুন রাজনীতি, নতুন রাজনৈতিক দল, জনজাগরণ ও জনআন্দোলন সৃষ্টির লক্ষে তিনি ২৮ দফা কর্মসূচি প্রচার করতে থাকেন। এই কর্মসূচি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বামপন্থি দলগুলোর নেতা ও কর্মীদের মধ্যে প্রচার করা হয়। অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক আরো উল্লেখ করেন যে, গত ২০ বছর ধরে বিশেষ করে ছাত্র-তরুণদের মধ্যে নতুন রাজনীতির ও নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রয়োজনবোধ প্রবল হয়ে উঠেছে। এই বাস্তবতার মধ্যেই এম এ আলীম সরকারের উদ্যোগে আজকের এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। এটা নতুন সৃষ্টি নতুন উদ্যোগ। প্রথম পর্যায়ে আমাদের চেষ্টা হবে জাতীয় জীবনে রাজনীতির গুরুত্ব সম্পর্কে নতুন চেতনা সৃষ্টি এবং রাজনৈতিক চিন্তার সঙ্গে রাজনৈতিক কার্যক্রমের সংযোগ সাধন। নতুন কার্যক্রমের জন্য নতুন রাজনৈতিক দল ও নতুন নেতৃত্ব দরকার। এসব চিন্তা-চেতনার সঙ্গে অর্থও দরকার। অনেকের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় সবই সম্ভব হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক ৪১ সদস্য বিশিষ্ট এম এ আলীম সরকারকে আহ্বায়ক করে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার বলেন, দেশে বর্তমানে রাজনৈতিক অঙ্গনে মহাক্রান্তিকাল বিরাজ করছে। বর্তমানে নিত্যপণ্যের বাজার যেভাবে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে কৃষক শ্রমিক মেহনতি সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। দেশ আজ বিশেষ কিছু ব্যক্তির নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছে। জাতি এ অবস্থা থেকে মুক্তি চায়। এম এ আলীম সরকার আরো উল্লেখ করেন, প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে সর্বজনীন উদার রাজনীতি গ্রহণ করার আহ্বান জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সদস্য মোঃ জিল্লুর রহমান, মোঃ জয়নীল আবেদীন, ডা. এনামুল হক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির (বিজিপি) আহ্বায়ক কমিটি: আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার এবং সদস্যরা হলেন ডা. এনামুল হক, অধ্যাপিকা নাজমিন আক্তার, মোঃ আজিজুল ইসলাম সিকদার, ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান সজীব, সুলতানা মাকসুদা মোঃ জয়নাল আবেদীন, মোঃ আব্দুল আলীম, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ আতিকুর রহমান, মোঃ সামিউল হোসেন, মোঃ নাজমুল হক, অধ্যাপক মোঃ আনোয়ার হোসেন, কাজী গোলাম মোস্তফা, হাফেজ ক্বারী মাওলানা মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ, মোঃ কামরুজ্জামান লিটন, মোঃ ফয়সাল আল-মামুন, মোঃ হাসানুজ্জামান, মোঃ ইকবাল হোসেন, মোঃ হাফিজুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, মোঃ নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ বাদল, আব্দুল মান্নান, মোঃ মোবারক হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান, মোঃ আবুল বাশার খান, সাবিরুল ইসলাম, মোঃ শামসুল আলম খান, শিমন মানকিং, হাফেজ ক্বারী মাওলানা মুফতি আব্দুর রহিম পীরসাহেব, মিলন মল্লিক, মুন্সি আসাদুজ্জামান আসাদ, মাওলানা আবু ইউসুফ, শফিক হোসেন আহমেদ উজ্জল, মোঃ রহমাতুল্লাহ বাবু, মোঃ ফয়সাল আল মামুন, মোঃ আব্দুস সালাম, মোঃ জিল্লুর রহমান, মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।