নোয়াখালী প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, কারবালার চেতনা আমাদেরকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে উদ্বুদ্ধ করে। কারবালার শোকাবহ ঘটনা স্মৃতিতে অম্লান। পবিত্র আশুরা সত্য ন্যায়ের পথে চলার প্রেরণা ও শক্তি যোগায়। ১০ মহরম পবিত্র আশুরা সমগ্র মুসলিম জাহানের জন্যে এক শোকাবহ দিন। ৬১ হিজরির এই দিনে হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) ও তার পরিবারের সদস্যগণ এবং সহচরবৃন্দ কারবালার প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে বিশ্বাস ঘাতক ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে শাহাদাৎ বরণ করেন। ইসলামের সুমহান আদর্শকে সমুন্নত রাখার জন্যে তাদের এই আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরদিন উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
সুফিবাদ সার্বজনীন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে ১০ মহরম, ২৯ জুলাই (শনিবার) বিকেলে ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ কেন্দ্রীয় কচি কাঁচা মিলনায়তনে ‘শুহাদায়ে কারবালা মাহফিল ও মার্সিয়া’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ইসলাম শান্তি ও মানবতার ধর্ম। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে তিনি সকলকে ধর্মীয় বিধি-বিধান মেনে চলার আহ্বান জানান।
সুফিবাদ সার্বজনীন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শাহ্ সুফি আল্লামা তৌহিদুল ইসলাম চিশতী নিজামীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মুহাম্মদ আনিসুর রহমান জাফরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আল্লামা খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী। অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সোমনুন মোহেব ওয়ার্সী আল-জাহাঙ্গীর।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আল্লামা খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী বলেন, ১০ মহরম আশুরা মুসলিম বিশ্বে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনে প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর কলিজার টুকরা ইমাম হুসাইন (রাঃ) সপরিবারে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শাহাদাৎ বরণ করেন। সত্যের পক্ষে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ইমাম হুসাইন (রাঃ) ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মত্যাগের ফলে ইসলাম ধর্ম সারা বিশ্বে পুনজাগরণ লাভ করে। আশুরার শিক্ষা হচ্ছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং সত্যের পক্ষে কাজ করা। তিনি সকলকে আশুরার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনকল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেরানীগঞ্জ ফকিরনি দরবার শরীফের খাদেম শাহ্ সুফি লুৎফুর রহমান বাধঁন, দৈনিক একুশের সংবাদ সম্পাদক ড. মোহাম্মদ শাহজাহান মজুমদার প্রমুখ। আলোচনা শেষে জনপ্রিয় শিল্পীরা কারবালার জারি-সারি ও কাওয়ালি পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে পীর মাশায়েখ, ওলামায়েকেরাম ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।