নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে দমদমা গ্রামের সেই বিধবা মাজেদার বাড়িতে দু’দফায় কোরবানির মাংস পাঠিয়েছেন সংসদ সদস্য একেএম রেজাউল করিম তানসেন।
তিনি ওই পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ^াস দিয়েছেন। ‘ঈদের দিনেও এক টুকরো মাংস জোটেনি বিধবার ভাগ্যে’ শীর্ষক সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সংসদ সদস্য ওই পরিবারের খোঁজখবর নেন। পরদিনই এমপি তার নিজ বাসায় আমন্ত্রণ জানিয়ে ডেকে নিয়ে বিধবার ছেলে দিনমজুর জুলহাস প্রামাণিক জুলুর হাতে মাংস তুলে দেন।
এরপর গত বুধবার বিকেলে উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের দমদমা দামোপাড়া এলাকায় গিয়ে বিধবা মাজেদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি ভাটরা ইউনিয়ন জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও পত্রিকা এজেন্ট নুরুল ইসলাম। এমপির পাঠানো মাংসের প্যাকেট বিধবার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এসময় স্থানীয়রা জানান, ঈদের দিন ওই বিধবার পরিবারের কেউই গ্রামবাসীর দেওয়া দুস্থদের ভাগের মাংস নিতে যায়নি। মাংস থেকে বঞ্চিত হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে ঈদের দিন এবং পরের দিনও ওই পরিবারের পক্ষ থেকে মসজিদ কমিটির কাউকে জানানো হয়নি। ঈদের দুইদিন পর হঠাতই মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। এই ঘটনাকে পুকুর সংক্রান্ত বিরোধ এবং মসজিদ কমিটির জিন্নাত আলী ওই পরিবারকে মাংস নিতে যেতে নিষেধ করেছে বলে অভিযোগ তোলেন বিধবার ছেলে জুলহাস প্রামাণিক জুলু। গতকাল বুধবার বিধবা মাজেদা জানালেন, তার ছেলে জুলু বলেছিল গ্রামের কোরবানির মাংস নাকি তাদেরকে দেবেনা। কিন্তু তিনি সে ব্যাপারে কোনো খোঁজখবর নেননি। তার ছেলে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য লুৎফর রহমানের সঙ্গে থাকে। ঈদের দিন লুৎফরের ভাই বিধবার বাড়িতে মাংস দিয়েছিলো। ওই পরিবারের কেউ গ্রামবাসীর দেওয়া ভাগের মাংস নিতে যায়নি। যেকারণে বিধবা জানিয়েছিলেন, গ্রামের কোরবানির এক টুকরো মাংসও তিনি পাননি। ওই বিধবা নিয়মিত বয়স্ক ভাতা তোলেন। তাদের কুঁড়েঘর, টিউবওয়েলও নষ্ট। বিধবা, তার ছেলে, ছেলের বউ এবং তিন নাতি-নাতনিকে নিয়ে বসবাস করেন।
ভাটরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মাসুম ও দমদমা জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আলমগীর হোসেন বাচ্চু দাবি করে বলেন, বিধবার ঘরের পাশে পানির সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন ও দামোর পুকুরে পানি দেওয়ার বিষয়ে কারো বিরোধ নেই। ঈদের আগেরদিন শুধু ওই পরিবার কেন! কোনো পরিবারের বিষয়েই গ্রামে বৈঠক বসেনি। এক ব্যক্তির কথামতো ওই পরিবার ইচ্ছাকৃতভাবেই মাংস নিতে আসেনি। কোরবানির মাংস বন্টনে গ্রামের সবাইকে সমানভাবে দেখা হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।