সেবা ডেস্ক : বর্তমানে দেশে স্যানিটেশন ও হাইজিন ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পালিত না হওয়াতে ডেঙ্গু’র প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি রোধ করতে প্রয়োজন জনগনের সচেতনতা এবং সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন।
এরই ধারাবাহিকতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পুয়র (ডর্প) এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) যৌথ উদ্যোগে সোমবার (২৪ জুলাই ২০২৩) ‘পানি, স্যানিটেশন ও জলবায়ু পরিবর্তনে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব এবং করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা আয়োজন করে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উক্ত গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, সংসদ সদস্য, গাইবান্ধা-১। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ডাঃ শেখ দাউদ আদনান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল এবং ক্লিনিক শাখা), ডিজিএইচএস, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, এবং জনাব রাশেদ রাব্বি, সভাপতি, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনাব মাহফুজ কবীর, পিএইচডি, গবেষণা পরিচালক, বিআইআইএসএস। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর আলোচকবৃন্দ ছিলেন জনাব মো: শামসুদ্দোহা, প্রধান নির্বাহী, সিপিআরডি, এবং জনাব মো: খলিলুর রহমান, সাবেক প্রধান কীটতত্ত্ববিদ, সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জনাব মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান, উপ-নির্বাহী পরিচালক, ডর্প। তিনি বলেন, ”বর্তমান পরিস্থিতিতে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা জরুরি অবস্থায় পৌঁছে গেছে। তাই এ সংকট নিরসনে করণীয় নির্ধারণের জন্য সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে আজকের গোলটেবিল আলোচনা আয়োজন করা হয়েছে।”
গোলটেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন জনাব মোঃ আজহার আলী তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) ও নির্বাহী উপদেষ্টা, ডর্প।
জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশে ডেঙ্গু’র প্রকোপ বাড়াচ্ছে বলে বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় জানা গেছে। এক ঋতুর সঙ্গে আরেক ঋতুর যে পার্থক্য, বাংলাদেশে তা বদলে যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে। সেই সঙ্গে তৈরি হচ্ছে নতুন সমস্যা। মৌসুম হোক বা না হোক, ডেঙ্গু’র মতো বাহকনির্ভর রোগের প্রকোপ বাড়ছে শহর এলাকায়। এই গবেষণা বলছে, আর্দ্রতা কমে আসার পাশাপাশি তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যতে দেশের রাজধানীসহ অন্যান্য শহরে ডেঙ্গু’র প্রকোপ আরও বাড়তে পারে। জলবায়ু যেভাবে বদলে যাচ্ছে, তাতে জনস্বাস্থ্যের ওপর এরই মধ্যে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশে গড় তাপমাত্রা বেড়ে গেছে শূন্য দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর তার ফলে ধীরে ধীরে লোপ পাচ্ছে ঋতুভেদে আবহাওয়ার বৈচিত্র্য।
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ প্রভূত অগ্রগতি করেছে। যার সুফল আমরা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় লক্ষ্য করছি কিন্তুু কিছু বাঁধাও রয়েছে। বিশেষ করে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (এসডিজি-৬) উন্নতকরণে আমরা পিছিয়ে আছি। যৌথ পরিবীক্ষন জরিপ ২০২৩ এর তথ্যমতে নিরাপদ খাবার পানি সুবিধাভোগী জনসংখ্যা ৫৯% যা ২০২১ সালের প্রতিবেদন থেকে মাত্র ০.৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি, নিরাপদ স্যানিটেশন সুবিধাভোগী জনসংখ্যা ২৯% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩১% এবং মৌলিক হাইজিন সেবা নিশ্চিত জনসংখ্যা ৩.৩% বৃদ্ধি পেয়ে ৬২% উন্নীত হয়েছে। এই পরিবর্তনের দিকে লক্ষ্য করলে আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয়না যে আমাদের এখনো অনেকদূর যেতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি-৬ অর্জন করতে হলে একদিকে যেমন বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে তেমনি সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহন এবং বাস্তবায়ন করতে হবে। সর্বোপরি দরকার সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরী করা।
স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে গত ১ জানুয়ারী ২০২৩ থেকে ১৫ জুলাই ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত ১৯৪৫৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এবং ১০০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। যার মধ্যে ঢাকা শহরেই ১৩১০৯ জন আক্রান্ত এবং ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। পূর্ববর্তী তথ্য বিশ্লেষণ থেকে ধারনা করা গিয়েছে যে জলবায়ু কারণ, বিশেষ করে গত কয়েক বছরে তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত এবং আর্দ্রতা হঠাৎ করে পরিবর্তিত হয়েছে। জলবায়ুর অসঙ্গতির সাথে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এবং পজিটিভ কেসও বেড়েছে। আবহাওয়ার অবস্থা ডেঙ্গু রোগের সাথে যুক্ত কারণ ‘এডিস ইজিপ্টি’র বৃদ্ধি এবং জীবনচক্র বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং বায়ু দ্বারা প্রভাবিত হয়, সরাসরি বা পরোক্ষভাবে। ডেঙ্গু’র প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাত সাহায্য করেছে বলে জানা গেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন নয়, এখন বিশ্ব দেখছে জলবায়ু বিপর্যয়। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতে আমরা দেখছি ডেঙ্গু বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বের প্রায় ৫০ শতাংশ লোক ডেঙ্গু ঝুঁকিতে আছে।” আমরা কম কার্বন নিসরন করেও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অধিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।
তিনি ডেঙ্গু মোকাবেলায় কমিউনিটি পর্যায়ে কর্মসূচী বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।
“কমিউনিটি এনগেজমেন্ট এর মাধ্যমে সাত দিনেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। তবু এতে নীতিনির্ধারকদের অনীহা আমার কাছে বিস্ময়কর। যথাযথ এনগেজমেন্ট নিশ্চিত করতে তরুণদের আমরা কাজে লাগাতে পারব। কিন্তু এখানে প্রশাসনের অনাগ্রহ দুঃখজনক। একজন সাংসদ হিসেবে আমি এদিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি আরও বলেন স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন বাড়াতে হবে ডেঙ্গু মোকাবেলায়।
“এ বিষয়ে দুই সিটি কর্পোরেশনকে একসাথে নিরসন করতে হবে। আমি মনে করি প্যানিক করার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নি। কিন্তু আমাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে আরও সক্রিয় হতে হবে। এখানে একটি সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। ডেঙ্গু সমস্যার সমাধান না করতে পারলে রাষ্ট্রের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাবে।”
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় জনাব মাহফুজ কবীর বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপদ পানির সংকট এবং অকার্যকর ভেক্টর কন্ট্রোল স্ট্র্যাটেজির কারণে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং তার প্রভাবে ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ বাড়ে। এবং ভাইরাসটির সুপ্ত থাকার প্রবণতাও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পালটে যাচ্ছে। এর পরিণামে আমরা বাংলাদেশেও ডেঙ্গু পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি দেখতে পাচ্ছি। যতই ঢাকার তাপমাত্রা বাড়বে ততই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার মত আদর্শ পরিস্থিতি উদ্ভূত হবে।”
তিনি ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলা ও দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে যথাযথ পরিকল্পনা, স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নয়ন, মহামারী নিবারণ প্রস্তুতি এবং কমিউনিটি পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির উপরে জোর দেন।
মাহফুজ কবীর আরও মন্তব্য করেন পানি স্যানিটেশন ও হাইজিন খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ এর ফলে উপরোক্ত সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন এবং ডেঙ্গুসহ অন্যান্য ভেক্টর-বোর্ন রোগসমূহ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাঃ দাউদ আদনান বলেন ডেঙ্গুর চরিত্র বদলে গেছে এবং তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে ভাইরাসের রেপ্লিকেশনের হারও বেড়ে গেছে।
“তাই ডেঙ্গুতে প্রাণহানির পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার উষ্ণতর আবহাওয়ার কারণে এর রেঞ্জও বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ফসল উৎপাদনের হার কমছে। এবং এর প্রভাবে সৃষ্ট অপুষ্টি জনগণের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। ফলে ডেঙ্গুর মত মহামারী অস্বাভাবিক হারে ছড়িয়ে পড়ছে।”
জনাব রাশেদ রাব্বি বলেন ডেঙ্গু নির্মূল করতে হলে এর উৎস অর্থাৎ মশার প্রজননক্ষেত্রগুলো আগে নির্মূল করতে হবে।
“বায়োডাইভার্সিটির সাথে সরকারের বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত। এক্ষেত্রে ডেঙ্গু মোকাবেলায় তাদের সমন্বয়ে একটি কার্যকর টাস্কফোর্স তৈরি করা জরুরি। ডেঙ্গু চিকিৎসা সর্বশেষ প্রচেষ্টা বলে আমি মনে করি। বরং এই পর্যায়ে যাওয়ার আগেই যাতে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা যায় সেজন্য সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে।"
জনাব মো: শামসুদ্দোহা তার বক্তব্যে জানান বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য আবহাওয়া পালটাচ্ছে এবং তার ফলে কিছু রোগের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে।
“এর উদাহরণ ডেঙ্গু মহামারী। ডেঙ্গুর প্রজনন বাড়ছে তাপমাত্রা অনুকূল হওয়ার কারণে। আবার বিস্তার বাড়ছে পানির কারণে, জলাবদ্ধতার কারণে। বিস্তার-বৃদ্ধি রোধে জলবায়ু পরিবর্তন এর পাশাপাশি পানি ও স্যানিটেশন খাত নিয়ে কাজ করতে হবে। জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় এই বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।”
জনাব মো: খলিলুর রহমান মন্তব্য করেন ভেক্টর ঘনত্ব না কমাতে পারলে ভেক্টর বোর্ন রোগ নির্মূল সম্ভব নয়।
“বাংলাদেশ ম্যালেরিয়া প্রায় নির্মূল করে ফেলেছে সেই ভাবে ডেঙ্গুকেও দেশ থেকে উতখাত করার সামর্থ্য আমাদের আছে। আমরা ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারব বলে আশাবাদী। ওয়াটার স্যানিটেশনের সাথে এডিস মশার সম্পর্ক আছে। ২০১৭ সালে চিকুনগুনিয়া এবং ২০১৯ সালে তীব্র ডেঙ্গু মহামারী আমরা দেখেছি। ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার বেড়ে যাচ্ছে। এবছর প্রাদুর্ভাব ইতিমধ্যেই অনেক বেড়ে গেছে। মশার ঘনত্ব আমরা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে কেস বাড়বেই।”
তিনি আরও বলেন বাংলাদেশের আবহাওয়াতে এডিস মশা অভিযোজিত হচ্ছে এবং তাদের প্রজননক্ষেত্র পরিবর্তিত হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে। এই মহামারী নিরসনে তিনি প্রত্যেক ওয়ার্ডে সেন্টিনেল সাইট তৈরি করার প্রস্তাব দেন যাতে রোগের হটস্পটগুলো চিহ্নিত করা যায়।
“কেসসমূহ তালিকবদ্ধ করতে র্যাপিড রেসপন্স টিম চালু করা যেতে পারে যাতে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার আগেই ডেঙ্গুকে প্রতিরোধ সম্ভব হয়।”
অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, উন্নয়নকর্মী, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
বৈঠকে উন্মুক্ত আলোচনায় তারা ডেঙ্গু মহামারী নির্মূলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। পাশাপাশি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মশক নির্মূল কর্মসূচী আরও জোরদার করতে তারা আহ্বান জানান।
গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহনকারীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে ডেঙ্গু বিষয়ক সচেতনতা তৈরিতে সকলেই যার যার অবস্থান থেকে অবদান রাখবেন এবং গণমাধ্যমও ডেঙ্গুর পাশাপাশি স্যানিটেশন ও হাইজিন ব্যবস্থার সার্বিক পরিস্থিতি জনগণের সামনে তুলে ধরবেন।
ডর্প বিগত ১৯৮৭ সাল থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের সাথে জড়িত এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রবর্তনকারী সংস্থা হিসাবে সমধিক পরিচিত। এরই ধারাবাহিকতায় ডর্প বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন নিশ্চিতে কাজ করছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।