সেবা ডেস্ক : ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা বলেছেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ছিলেন গণতন্ত্রের দিশারী। তিনি ছিলেন গরীব-দুঃখীর কণ্ঠস্বর।
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ৬৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর তোপখানা রোডে শিশু কল্যাণ পরিষদের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান এস এম আশিক বিল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ-এর বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগরের সভাপতি কামাল ভূইয়া।
প্রধান বক্তা এস এম আশিক বিল্লাহ বলেন, মজলুম জননেতা আমাদের সকলেরই শ্রদ্ধাভাজন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো. আমজাদ হোসেন বলেন, মওলানা ভাসানীর পারিবারিক নাম আব্দুল হামিদ। ব্রিটিশ আমলে আসামের ভাসান চরের আন্দোলনে বাঙালি কৃষকদের জমির অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন। তিনি ভাসন চরকে আসামের ভূস্বামীদের কবল থেকে উদ্ধার করেন। সেখানে কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর বহ্মপুত্র উপত্যকায় ভাসান চরের বাঙালি জনগণ তাকে ভাসানী উপাধিতে ভূষিত করে। এম এ জলিল বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী গণমানুষের কাছে শ্রদ্ধেয়। মানুষ আজও তার গণমুখী রাজনীতির কারণে তাকে ভালোবাসে। তার মত নেতা চায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বপন কুমার সাহা বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ছিলেন গণতন্ত্রের শিক্ষক। সভাপতির বক্তব্যে কামাল ভূইয়া বলেন, ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড়ে তৎকালীন ১০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। তখন মওলানা ভাসানী ঢাকার পল্টন ময়দানে পাকিস্তানি শাসকদেরকে ওয়ালাইকুম আসসালাম জানিয়ে স্বাধীনতার কথা বলেন। আজকের প্রজন্মকে তাঁর সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস ও আদর্শকে ধারণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, ১৯৫৭ সালের ২৬ জুলাই ঢাকার রূপমহল সিনেডমা হলে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি গঠন করা হয়।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।