সেবা ডেস্ক : সারাবিশ্বের মুসলিমরা কোরবানির মাধ্যমে ত্যাগের মহিমায় পালন করলেন ঈদুল আজহা। ঈদের খুশি ভাগাভাগি করতে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে বিতরণ করা হয় কোরবানির মাংস।
এরপর নিজেদের জন্য বেঁচে যাওয়া মাংসগুলো দিয়ে রান্না করা হয় মুখরোচক সব খাবার।
সকাল থেকে দুপুর গড়াতেই ঘর ভরে যায় মাংস রান্নার সেই পরিচিত ঘ্রাণে। কিন্তু ঈদ উদযাপন কি তাতেই থেমে থাকে? এ সময়ে জোরে-সোরে শুরু হয়ে যায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রান্নার প্রস্তুতি – তা হোক সবার প্রিয় স্টেক, কিংবা সুস্বাদু কোন মিস্টান্ন। কিন্তু, এসব খাবার-ভিত্তিক নীরিক্ষা চালানোটাও হয়ে উঠতে পারে বেশ ঝক্কির কাজ; তাই, সেক্ষেত্রে কিছুটা স্বস্তি নিয়ে আসে আমাদের সবার মাঝে সুপরিচিত একটি অ্যাপ্লায়েন্স – মাইক্রোওয়েভ ওভেন।
নিজের জন্য ছোট করে হোক অথবা পরিবার পরিজনদের জন্য বিশাল এক আয়োজন, ভালো খাবার ছাড়া ঈদ রয়ে যায় অসম্পূর্ণ। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের প্রস্তুতিপর্ব হয়ে উঠতে পারে খুবই ক্লান্তিজনক, যার কারণে অনেকে রান্নার উত্তেজনাটাই হারিয়ে ফেলেন। এই সমস্যা দূর করতে অসংখ্য সুবিধা নিয়ে আসে এই মাইক্রোওয়েভ ওভেন। একসময় মনে হত মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ব্যবহার শুধুমাত্র খাবার গরম করা পর্যন্তই সীমিত; কিন্তু এখন, স্যামসাং সহ অন্যান্য সব কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ডগুলো আমাদের জন্য নিয়ে এসেছে অনেক রকমের ফিচার, যা রান্নাবান্নাকে করে তোলে খুব সহজ।
আমাদের সবার প্রিয় শিক কাবাব-ই ধরুন। বাঁচিয়ে রাখা হাড় ছাড়ানো মাংস প্রথমে কিমা করে নিয়ে তাতে স্বাদমত লবণ, একটু মরিচ বাটা, রসুন বাটা, আদা বাটা, লাল মরিচ গুড়া, ধনিয়া গুড়া, জিরা গুড়া, গরম মসলা গুড়া ও সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর, ভেজা হাত দিয়ে (যেন মাংসের মিশ্রণ হাতের তালুতে লেগে না যায়) মাংসের মিশ্রণটি অ্যাপ্লায়েন্সের সাথে আসা স্কিউয়ারে লাগিয়ে নিয়ে মাইক্রোওয়েভে দিয়ে দিতে হবে। এরপর মাইক্রোওয়েভের গ্রিল ফিচার চালু করলেই কিছুক্ষণের মধ্যেই পেয়ে যাবেন রেস্টুরেন্টের থেকেও সুস্বাদু শিক কাবাব, বাড়িতেই!
এতোসব উদ্ভাবনী ফিচারের বদৌলতে এখন চমৎকার এক ব্যাচ ব্রাউনি বানানোর জন্য পুরোদস্তুর ওভেনের দরকার নেই, কারণ এক্ষেত্রে মাইক্রোওয়েভের কনভেকশন মোড-ই যথেষ্ট। ময়দা, গলানো মাখন, ডিম, চিনি, অল্প একটু ভ্যানিলা, ইন্সট্যান্ট কফি, কোকো পাউডার, চকলেট আর এক চিমটি লবণ একসাথে মিশিয়ে নিয়ে, প্রিহিট করা মাইক্রোওয়েভে বেক করলেই পেয়ে যাবেন মজাদার ব্রাউনি।
নান থেকে শুরু করে রোস্টেড চিকেন, খাশির কাবাব, গরু মাংসের স্টেক, কিংবা কেক, কুনাফা অথবা ক্রেম ব্রুলে, মাইক্রোওয়েভ ওভেনে বানানোর খাবারের তালিকা এখন বেশ লম্বা। সঠিক ব্যবহারের জন্য আগে এই অ্যাপ্লায়েন্সের সাথে আসা ইউজার ম্যানুয়ালটি পড়ে নিতে ভুলবেন না।
মসলাদার ঝাল খাবার হোক কিংবা মিষ্টি কোনো পদ, মাক্রোওয়েভের সহায়তায় বানানো যায় যেকোন কিছুই। বর্তমানের উদ্ভাবনী মাইক্রোওয়েভ ওভেনগুলোর অত্যাধুনিক ফিচার ব্যবহার করার পাশাপাশি রান্নার কিছু নিয়ম দেখে নিলেই বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারবেন সব ধরনের খাবার – সেটা দেশি হোক কিংবা বিদেশি।
কাঁচা মাংস নিয়ে কাজ করা থেকে শুরু করে সবাইকে মাংস বিতরণ করা পর্যন্ত, ঈদুল আজহা হতে পারে ব্যস্ততায় ভরপুর; যে কারণে এই সময়ে রান্নার ক্ষেত্রে কিছুটা সহায়তা খুব জরুরি। তাই, সময় বাঁচিয়ে আমাদের কে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার পাশাপাশি ভালো সময় কাটানোর সুযোগ করে দেয় আমাদের সবার প্রিয়, উদ্ভাবনী রান্নার ফিচারে সমৃদ্ধ এই অ্যাপ্লায়েন্স।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।