সেবা ডেস্ক : জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক মঞ্চের উদ্যোগে তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আজ ১১ জুলাই সকালে নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সমাবেশে নাগরিক মঞ্চের সমন্বয়কারী ও দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীমের সভাপতিত্বে ও নাগরিক মঞ্চের সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মাসুদ হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মেজর জেনারেল (অবঃ) আমসাআ আমিন, কর্ণেল (অবঃ) খন্দকার ফরিদুল আকবর, এনডিপির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহের, নাগরিক মঞ্চের সমন্বয়কারী ও ইসলামী সমাজতান্ত্রিক দলের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, এনডিএম এর সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব গাজী মোস্তাফিজুর রহমান, দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির মহাসচিব ড. শওকত হোসেন সহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ।
বক্তাগণ বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে আছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ, শেয়ার বাজার, ব্যাংক সেক্টর ধ্বংসর মুখে ফেলে সরকার অর্থনীতিকে সম্পূর্ণরূপে দেউলিয়া করেছে। দেশে গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই। আছে একদলীয় স্বৈরতন্ত্র। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি নাগরিক মঞ্চ জনগণের দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজপথে সোচ্ছার ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। দলীয় সরকারের অধিনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের দুটি নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। একমাত্র নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে যে নির্বাচন হয়েছে, সেই নির্বাচনগুলো দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। এখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে অনুষ্ঠিত হলে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে এবং জনগণের মনোনীত প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে সক্ষম হবে। এ জন্যেই নাগরিক মঞ্চের নেতৃবৃন্দ সংবিধান সংশোধন করে সংবিধানে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে সরকারকে পদত্যাগের জোর দাবি জানান। সভা শেষে নাগরিক মঞ্চ ১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিক্ষোভ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও সংসদ অভিমুখে গণপদযাত্রা কর্মসূচিসহ নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।