জামালপুর সংবাদদাতা : জামালপুরের মেলান্দহে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বিধবা রাজিয়াকে মারধরের মামলা তুলে নিতে হুমকী প্রদর্শনের অভিযোগ ওঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আদ্রা ইউনিয়নের চংদাড়িয়া গ্রামে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক, ইউএনও, লিগ্যাল এইড, মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, রাজিয়া বেগম ও মুন্তাজ উদ্দিনের মধ্যে বিয়ে সম্পন্ন হয়। তারা চংদাড়িয়া গ্রামেই বসবাস করে আসছিলেন। স্বামী মুন্তাজের মৃত্যুর পর বিধবা রাজিয়া অসহায় হয়ে পড়েন। রাজিয়া পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত জমিতে বসতি স্থাপন করেন। বিধবার জমি দখলের জন্য গুজামানিকা গ্রামের বাবর আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪২), জাকির হোসেন গংরা নানা ফন্দি করতে থাকে। এ নিয়ে চেয়ারম্যান- মেম্বারসহ গ্রামবাসি কয়েকদফা সালিশও করেছেন। আনোয়ার হোসেনরা প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রাম্য সালিশও মানে না। একপর্যায়ে ১৯ জুন বিধবা রাজিয়ার জমিতে গাছ রোপনের মাধ্যমে জমি দখল করতে যায়। এ সময় রাজিয়া বাধা দিতে গেলে তাকে বেধড়ক পিটুনি দেয়। বিধবাকে মৃত ভেবে পাশের ঝুপড়িতে ফেলে চলে যায়। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় মেলান্দহ থানা পুলিশ ওই বিধবাকে উদ্ধার শেষে মেলান্দহ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ২৬ জুন ওই বিধবা বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় একটি মামলা (নং ২৪) দায়ের করেন।
বিধবার অভিযোগ মামলার পর থেকেই আসামীরা মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকী-ধমকী দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে বিধবার জীবনের নিরাপত্ত¡া এবং সুবিচারের আশায় জেলা প্রশাসক, ইউএনও, লিগ্যাল এইড, মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।#
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।