শফিকুল ইসলাম : রৌমারী উপজেলায় ক্রয়কৃত ও ভোগদখলীয় জমির ভিন্ন প্রতিবেদন দাখিল করায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে সহকারি কমিশনার ভূমি এবিএম সারোয়ার রাব্বীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন দুটি পরিবার। ঘটনাটি কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মন্ডলপাড়া গ্রামের খায়জ্জামানের মৃত্যু পর পৈত্রিক সম্পত্তির ওয়ারিশ সূত্রে জমির মালিক হন তার পুত্র লাল মিয়া। উপজেলার একই গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলাম এর ছেলে মশিউর রহমান ২০২১ সালে ৬শতক জমি দলিলমুলে ক্রয় করেন লাল মিয়ার কাছ থেকে। যার দলিল নং ২৩৯৩/২১ ইং, আরএস খতিয়ান নং ৮৯৮,আরএস দাগ নং ৬৬৮, খারিজ খতিয়ান নং ৪৪৩২ এবং ওই জমিটি ভোগদখল করে আসছেন মশিউর রহমান। অপর দিকে আবুল হোসেন এর পুত্র জহুরুল হক ৬শতক জমি ক্রয় করেন পনির উদ্দিনের পুত্র হাফেজ উদ্দিনের কাছ থেকে। যার এসএ নং ২৯৬, আরএস দাগ নং ৬৭২। জহুরুল হকের ক্রয়কৃত জমির নকশা অনুযায়ী আরএস দাগ নং অন্যটি হওয়া সত্বেও মশিউরের জমির উপর কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করেন জহুরুল হক।
পরে মশিউর রহমান বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার পিটিশন নং ৪৮০/২২ ইং।
ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দিলে তিনি সরেজমিনে তদন্ত করে মশিউর রহমানের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার ভূমি বরাবর। এই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার একইভাবে মশিউর রহমানের পক্ষেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর। ওই জমির দুটি তদন্ত প্রতিবেদন একইভাবে দাখিল করলেও বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার ভূমি তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন তার উল্টোটা। ফলে ভিন্ন ভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। এনিয়ে কয়েক দফা গ্রাম্য শালিসও হয়েছে।
জহুরুল হক জানান,তদন্ত করে আমার পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন এসিল্যান্ড। তবে জমির দাগ ও খতিয়ান নম্বর ভুল হওয়ায় তা সংশোধনের জন্য মামলা করেছি।
এব্যাপারে জমির বিক্রেতা লাল মিয়া বলেন, আমি মশিউর রহমানের কাছে জমি বিক্রি করেছি দলিল মুলে। এই জমিটির অন্য কোন ওয়ারিশ নেই এবং জমিতে গাছ ও বাশঝাড় আমার লাগানো
স্থানীয় বাসিন্দা সাবেক পুলিশ আ: হান্নান জানান, এবিষয়ে কয়েকবার শালিস করা হয়েছে। ওই শালিসে জমির কাগজপত্র অনুয়ায়ী মশিউর সঠিক রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার ভূমি এবিএম সারোয়ার রাব্বীর নিকট তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরেজেিমনে তদন্ত করে যা পেয়েছি তাই প্রতিবেদনে দেওয়া হয়েছে এবং বাকিটা আদালতের বিষয়। এর আগের প্রতিবেদনে কে কি লেখেছে তা আমার জানার বিষয় না।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।