লিয়াকত হোসাইন লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় গরুর শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাস জনিত রোগ লাম্পি স্কিন। ইতিমধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারাও গেছে বেশ কয়েকটি গরু।
আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ায় দু:চিন্তায় পড়েছে খামারীসহ গেরস্তরা। লাম্পি স্কিন চিকিৎসায় টাকা খরচ করেও এই রোগ থেকে সুস্থ হচ্ছেনা আক্রান্ত গরু। উল্টো প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে পড়ে লাম্পি স্কিন ভাইরাস। এদিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস বলছে লাম্পি স্কিন রোগ প্রতিরোধে আক্রান্ত গরুর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মপুর উপজেলার বোয়ালমারি, সিরাজাবাদ, গোয়ালেরচর, বাটিকামারী, ধর্মকুড়া, পলবান্ধা,গোয়ালের চর, মোহাম্মদপুর ছাড়াও উপজেলার ১২টি ইউনিয়নেই ছড়িয়ে পড়েছে গরুর ভাইরাস জনিত রোগ লাম্পি স্কিন। এ রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরিরে প্রথমে দেখা দিচ্ছে গুটি। তারপর সেই গুটির স্থানে লোম পড়ে গিয়ে তৈরি হচ্ছে ক্ষত। এই রোগের সুনির্দষ্ট চিকিৎসা না থাকায় ইতিমধ্যে মারাও গেছে ১০-১২টি গরু। এদিকে আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারীরা গরু পালন করেছে। বাড়তি উপার্জনের আশায় প্রতি বছরের মতো এবারও গরু পালন করেছে গেরস্তরাও। গরু কোরবানির হাটে তোলার পূর্বমুহুর্তে ভাইরাস জনিত রোগ লাম্পি স্কিন ছড়িয়ে পড়ায় দু:চিন্তায় পড়েছে এই উপজেলার খামারীসহ গেরস্তরা। যেসব গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে চিকিৎসা করিয়েও গরু সুস্থ হচ্ছেনা। উল্টো এক গরু থেকে আরেক গরুতে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। খামারী এবং গেরস্তরা বলছেন, কোরবানির জন্য সারাবছর গরু লালন-পালন করেছি, এখন হঠাৎ করেই গরুর শরীরে ভাইরাস দেখা দিয়েছে। এই রোগের চিকিৎসায় টাকা খরচ হলেও গরু পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠছেনা। লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে গরু মারা যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে তাদের।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: তোফায়েল আহমেদ বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লাম্পি স্কিন রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৬টি গরু লাম্পি স্কিন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যেসব গরু সুস্থ আছে সেগুলোকে আলাদা করা হয়েছে এবং ভেটেরিনারি সার্জনদের মাধ্যমে আক্রান্ত গরুগুলোকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে দ্রæতই এই রোগ নিয়ন্ত্রনে আসবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।