বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি : জামালপুরের বকশীগঞ্জে বাংলা নিউজ ২৪ ডটকম এর জেলা প্রতিনিধি ও বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সদস্য সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার ঘটনায় ২২ জনের নামে ও অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে বকশীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ।
ওই মামলায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু ও তার ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাত সহ অনেককেই আসামি করা হয়েছে।
সাংবাদিক নাদিম হত্যা: আরও পড়ুন >>
ইতোমধ্যে নাদিম হত্যার প্রধান অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শনিবার সকালে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী চর তিস্তাপাড় এলাকা থেকে আটক করেন বলে জানিয়েছেন জামালপুর জেলা পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ।
অপরদিকে নাদিম হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনায় আটককৃত ৯ জনকে শনিবার দুপুরে জামালপুর কোর্টে প্রেরণ করেছেন থানা পুলিশ।
সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার ঘটনায় খুনিদের বিচারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে বকশীগঞ্জ উপজেলা সহ সারাদেশ।
হত্যার ঘটনায় পুরো সাংবাদিক সমাজ সহ স্থানীয় এলাকাবাসী দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন।
সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাংবাদিক নাদিমের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। খুনিদের ফাঁসির দাবি করেছেন নাদিমের পরিবার সহ পুরো এলাকার মানুষ।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২ টায় বকশীগঞ্জের কর্মরত সাংবাদিকরা নাদিমের খুনিদের ফাঁসির দাবিতে পুরাতন বাস স্ট্যান্ড এলাকা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। একই দিন বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে আরেকটি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষুব্ধরা এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবি জানান।
নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম সাংবাদিকদের জানান, তার স্বামীর হত্যাকারীরা যেন পার না পায়। খুনি মাহমুদুল আলম বাবু ও তার ছেলে রিফাত সহ সকলের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তিনি।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি মো. সোহেল রানা জানান, সাংবাদিক নাদিম হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি সহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। ইতোমধ্যে থানা পুলিশের হাতে ৯ জনকে জামালপুর কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে পৌর শহরের কাচারী পাড়ায় নিজ বাসায় ফেরার পথে বুধবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে টেনে হিচড়ে নামিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয় সাংবাদিক নাদিমকে। এক পর্যায়ে তাকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর উপস্থিতিতে তার ছেলে সহ কয়েক জন ইট দিয়ে আঘাত করে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমকে মারাত্মকভাবে আহত করে। ১৫ জুন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নাম উঠে আসে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।