শামীমুল ইসলাম তালুকদার : জামালপুরের বকশীগঞ্জে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (৮) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয় বন্ধ কিনা জানতে গিয়ে ওই শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থীও পরিবার।
সোমবার (৫ জুন) বেলা ১১ টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের টেংরামারী গ্রামে। এ ঘটনায় একজন আটক করেছে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও নির্যাতিতা ওই শিক্ষার্থীর পরিবার জানান, সোমবার সকালে টেংরামারী গ্রামের এক কাঠ মিস্ত্রির কন্যা বিদ্যালয় বন্ধ কিনা তা জানতে তার প্রতিষ্ঠান যদুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। বিদ্যালয়ে গিয়ে জানতে পারেন সরকারিভাবে সকল বিদ্যালয় ৪ দিনের বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর বিদ্যালয় থেকে বাড়ির দিকে ফেরার পথে ওই শিক্ষার্থীর দুসম্পর্কের নানা (মায়ের ফুফা) স্থানীয় যদুরচর গ্রামের মিয়ের উদ্দিনের ছেলে মোতালেব মিয়া (৫০) তাকে ২০ টাকা দিয়ে প্রলোভন দেখান। এক পর্যায়ে একটি সুপারির বাগানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন মোতালেব মিয়া। দুইদিন পর বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ওই শিক্ষার্থীর মা জানান, বুধবার (৭ জুন) সকাল ৬ টায় ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতির কাছে এঘটনার বিচার চাইতে গেলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে তাকে জানানো হয়।
এঘটনায় ধর্ষকের বিচারের দাবি জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থীর পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি মো. সোহেল রানা জানান, স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাটি তিনি প্রাথমিকভাবে জানতে পেরে একজন আটক করা হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।