কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : এক ভাংড়ি ব্যবসায়ীকে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ আদায় ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠা কাজিপুর থানার দুই উপপরিদর্শককে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে দুই উপ পরিদর্শক আবুল হোসেন ও শহিদুল ইসলামকে কাজিপুর থানা থেকে সিরাজগঞ্জ সিরাজগঞ্জ লাইনে পাঠানো হয়েছে। বুধবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন কাজিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল কুমার দত্ত। তিনি বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে ওই দুইজন এসআইকে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।
হয়রানী নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সিরাজগঞ্জ সদরের লাভলু ইসলাম সোমবার (১৫ মে) সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি), অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (রাজশাহী) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)কে অনুলিপি প্রদান করেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত (১৩ মে) শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭'টার দিকে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থানার উপ-পরিদর্শক আবুল হোসেন ও শহিদুল ইসলাম শহিদসহ সঙ্গীয় ২'জন ফোর্স নিয়ে একটি চুরি মামলার তদন্তে পাওয়া তথ্যে ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদর থানার একডালা গ্রামে যান । এসময় দুই পুলিশ ওই গ্রামের মৃত কোরবান আলীর ছেলে ভাংড়ি ব্যবসায়ী লাভলু ইসলামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালান। ওই ব্যবসায়ী তল্লাশির কারণ জানতে চাইলে এস,আই আবুল হোসেন তাকে গালিগালাজ ও হুমকি দেন। এক পর্যায়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স চেক করতে হবে মর্মে তাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে প্রায় ২ কিলোমিটার উত্তরে মহিষামুড়া চৌরাস্তা বাজারের পূর্বপাশে মহিলা মাদ্রাসার পিছনে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। এসময় ব্যবসায়ীর নিকটে থাকা সিমেন্ট বিক্রির ৩০ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে ওই ব্যবসায়ীর ফোন পেয়ে রতনকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মহিষামুড়া আসেন। তিনি দুই পুলিশ অফিসারের সাথে কথা বলেন এবং আরও পূর্বে ছিনিয়ে নেয়া ৩০ হাজারের সাথে আরও ১০ হাজার টাকা নিয়ে ওই দুই পুলিশ লাভলুকে ছেড়ে দেয়।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।