লিয়াকত হোসাইন লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের ইসলামপুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়-হাওয়ায় লন্ডভন্ড হয়ে গেছে পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর। গাছপালাসহ ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
১৫ মে রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানে। এতে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌর শহরের বিভিন্ন গ্রামে পাঁচ শতাধিক কাঁচাপাকা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়াসহ গাছপালা ও আবাদি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
জানা গেছে, নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন বাড়িঘর বিধ্বস্ত সহ হাড়গিলা উচ্চ বিদ্যালয়,ঢেংগাড়গড় নুরল হুদা আলিম মাদরাসা,স্থাপনা সহ উপজেলার তিনটি প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ঝড়ে পৌর শহরের নটারকান্দা গ্রামের আহসান উদ্দিনের স্ত্রী উসনা বেগম, প্রতিবদ্ধি মীম আক্তার,আঃ সালামের স্ত্রী ফুলেছা বেগম,মজনু মিয়ার ঘরে গাছ পড়ায় বসত ঘরটি দিখন্ডিত হয়ে যায়।
এছাড়াও উত্তর দরিয়াবাদ গ্রামের হুআকবরের স্ত্রী হনুফা বেগম,মতি শেকের পুত্র বিল্লাল হোসেন, আকবর হোসেনের ছেলে আজিমুদ্দিন শেখ, ধর্নাপাড়া গ্রামের ফরিজ উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন ও উকিল উদ্দিনের ছেলে আহালু শেখের বসত ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কুলকান্দি ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামের জবেদ আলীর পুত্র আলম মিয়া,ছাত্তারের পুত্র মোতালেব আলী খন্দকার,কোরবান আলীর পুত্র নজরুল ইসলাম,ইদ্রিস আলীর পুত্র হামেদ খন্দকারের বসতঘরের টিন উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ায় তারা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
অন্যদিকে বেলগাছা ইউনিয়নের ফকির পাড়া গ্রামের জাফরের পুত্র আসাদ আলী,চান ফকিরের পুত্র ফরিদ,সামসুল হকের পুত্র আশরাফ আলী,সাদা শেখের পুত্র রহমান,মুন্নাফ আলীর পুত্র খাজা মিয়ার ঘর ঝড়ে উড়ে গেছে।
ইসলামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, প্রায় পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান রুমান জানান,শতাধিক মানুষ ঝড়ে আহত হয়েছে,বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করেছি। বাড়িঘর,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।