মো. পলাশ খান : ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলান’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ বুধবার বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৩ পালন করেছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ফরিদপুর।
এ উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিস কর্তৃক আয়োজিত র্যালীতে অংশগ্রহণ করে ঢাকা আহছানিয়া মিশন ফরিদপুরের কর্মীবৃন্দ।
র্যালীটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। র্যালী শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে র্যালী পরবর্তী এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহ মো. বদরুদ্দোজা এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার পিএএ। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়াহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমকর্তা শেখ মো. অহিদুল আলম, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ফরিদপুরের জেলা ইনচার্জ মো. পলাশ খান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. ইফতেখার আজাদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. লিটন আলীসহ প্রমুখ। ডা. ইফতেখার আজাদ বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহার করে থাকে। তামাক মহামারী এবং এর ফলে মৃৃত্যু ও রোগের প্রতি বিশ্বব্যাপি সচেতন করতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে গত ১৯৮৭ খ্রীষ্টাব্দ থেকে প্রতি বছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয়ে আসছে। মো. পলাশ খান বলেন, প্রত্যক্ষ্যভাবে তামাক গ্রহণ না করেও দেশের ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের স্বীকার। যা ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি অতিমাত্রায় বাড়িয়ে দিচ্ছে। শুধু তামাক ব্যবহারের ফলেই দেশে প্রতি বছর ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যু বরণ করছে। তামাক ব্যবহার যে শুধু আমাদের শারীরীকভাবেই ক্ষতি করছে তা নয় বরং তামাক চাষের ফলে দেশের ৩১ শতাংশ বন উজাড় হচ্ছে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতি ৩০০টি সিগারেটের জন্য একটি পূণাঙ্গ গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। পাশাপাশি সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায় তামাক চাষে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীতে মিশে মাছের উৎপাদন ও প্রজণনকে মারাতœক ক্ষতিগ্রন্থ করছে। সুতরাং আমাদের সতর্কতা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এখনি জরুরী। প্রধান অথিতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, দ্রæতই জেলার ১৬ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। কেননা তামাক মাদকের প্রবেশ দ্বার। তিনি আরো বলেন এক গবেষণায় দেখা গেছে তামাক ও মাদক নারী নির্যাতন বৃদ্ধির সাথেও সম্পৃক্ত। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহ মো. বদরুদ্দোজা বলেন, দেশে মোট ৯৯ হাজার হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। তামাক ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট রোগের চিকিৎসায় প্রতিবছর ব্যয় হয় ৩০ হাজার কোটি টাকা যা শুধুমাত্র তামাক চাষ ও তা ব্যবহার বন্ধের মাধ্যমে আমরা রোধ করতে পারি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।