বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথরিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাথরিয়া গ্রামের দুই সহদরের মায়ের কাছ থেকে উত্তোরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত বসতভিটা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আইন অমান্য করে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় প্রতিপক্ষরা দুই সহোদরের বসত ভিটা দখল করে সেখানে পাকা স্থাপনা নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
এ ঘটনায় নুরুল আলম ও তার ছোট ভাই শাহ আলম বাদী হয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আইন অমান্য করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলমান রাখলে পরবর্তী খাস দখল পুনরুদ্ধারের জন্য সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, বাঁশখালীর দ্বারস্থ হন তারা।
তবে অভিযোগ দায়েরের পর থেকে প্রতিপক্ষ মো. সাইমুন ও মো. মায়মুন বাদীকে অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে প্রাণনাশের হুমতি দিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, কাথরিয়া মৌজার আরএস ১৫০ নং খতিয়ানের, আরএস ১৭২৯ দাগের ১৯ শতক জমির সামিল বিএস ১২৫৯ খতিয়ানের বিএস ৫৮শ দাগের ১৯ শতক দখলীয় বসতভিটা রেখে মারা যান মছুদা খাতুন। তার মৃত্যুর পর নুরুল আলম ও তার ছোট ছেলে শাহ আলম সহ তার দুই মেয়ে উক্ত সম্পত্তির মালিক হন। বাদী দুই সহোদরের সাথে তাদের বোনদের মধ্যে বন্টনমতে উক্ত দাগের বসত ভিটা বাদী নুরুল আলম ও তার ছোট ভাই শাহ আলমের দখলে রয়েছে। প্রতিপক্ষরা স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় আইন অমান্য করে জোরপূর্বক বসতভিটা দখল করে সেখানে পাকা ঘর নির্মাণের প্রস্তুতি নিয়েছেন। ইতোমধ্যে তারা পাকা দেওয়াল তুলেছে। এ সময় ঘর নির্মাণে বাঁধা প্রদান করলে প্রতিপক্ষরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিপক্ষ মো. সাইমুন পাকা স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি স্বীকার করলেও কেন আইন অমান্য করে জোরপূর্বক দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন এমন প্রশ্নে উত্তর এড়িয়ে ফোন কেটে দেন।
স্থানীয় কাথরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইবনে আমিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, 'আমি সহযোগীতা করে জায়গা দখল করে দিচ্ছি বিষয়টি সঠিক না। তাছাড়া বসতভিটা জোরপূর্বক দখল করে স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে আমার কাছে কেউ কোন রকম অভিযোগ করেননি। তবে, তদন্তকারী এক পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টি আমাকে জানালে আমি তাকে বলছি আমি জনপ্রতিনিধি, কারো পক্ষপাতিত্ব করা আমার কাজ না। আমার বিরোদ্ধে কেউ অভিযোগ দিলে সেটা আমি দেখবো।'
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ঘটনার তদন্তকারী এসআই কামরুল এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।