শফিকুল ইসলাম : জমাজমি সংক্রান্ত জের ধরে আগুন লাগিয়ে বাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে চাচা সবেদ আলীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় ভাতিজা রাশেদুল বাদী হয়ে দুই নারীসহ ৫জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সাড়ে ১০ টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের জিগ্নিকান্দি গ্রামে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে জিগ্নিকান্দি গ্রামের মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে হারান ও সবেদ আলী দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এনিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম্য মাতাব্বরগণরা একাধীকবার শালিসও করে দেন। এরপরেও সবেদ আলী তার ভাতিজা রাশেদুল ও তার স্ত্রীসহ কয়েকজনকে আসামী করে কুড়িগ্রাম কোর্টে শান্তিরক্ষা মামলা করেন এবং কোর্ট থেকে ভাতিজার নামে উকিল নোটিশ দেন। ঘটনার আগের দিন রাশেদুলের স্বপরিবার হাজিরা দেওয়ার জন্য কুড়িগ্রাম কোর্টে যান। এদিকে ঘটনার দিন বাড়িতে কেউ না থাকায় রাশেদুলের পাকের ঘর থেকে আগুনের লেলিহা দেখতে পায় গ্রামবাসিরা। পরে কর্তিমারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। অগ্নিকান্ডে বসতবাড়ির টিনশেড ৩ টি ঘর, এনজিও থেকে ঋণ নেওয়া নগদ ১ লক্ষাধীক টাকা, ১০ বস্তা চাউল, ৬টি ছাগল, স্টিলের সুকেচ, পাশপোর্ট, জমির দলিল ও ঘরে রাখা যাবতীয় আসবাবপত্রসহ প্রায় ৫ লক্ষাধীক টাকার মালামাল ভষ্মিভূত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সন্দেহ সবেদ আলী ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে।
ক্ষতিগ্রস্থ আনজুয়ারা বলেন, আমার চাচা শ্বশুর সবেদ আলীসহ তার পরিবারের লোকজন আমার স্বামী ও আমাকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসতো এমনকি ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাসিয়ে দেওয়ার ভয়ভীতিও দেখাত। বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় তারা জড়িত রয়েছে।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ রুপ কুমার সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত করা হচ্ছে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।