স্টাফ রিপোর্টার : নাম আতিকুর রহমান মুকুল।পরিচিতজনদের নিকট মুকুল চেয়ারম্যান নামেই পরিচিত। কাজিপুরের ১২ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মধ্যে অন্যতম শিক্ষিত ও স্পষ্টভাষী হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে।
একজন সফল জননেতা, ব্যবসায়ী এবং বন্ধুবৎসল মুকুল চেয়ারম্যান একের পর এক তার সততা ও নিষ্ঠার দ্বারা জয় করে চলেছেন নানা পুরস্কার। সেইসাথে দলীয়ভাবেও এবার তিনি সম্মানিত হলেন।
বাংলাদেশ আ.লীগের এবারের ঘোষিত কমিটিতে তিনি সরাসরি কৃষকলীগ থেকে মূলদল আ.লীগের সম্পাদনা পরিষদে স্থান পেয়েছেন। এবারের কমিটিতে তাকে তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকের পদ দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ এক দশক যাবৎ তিনি সামলে চলেছেন কাজিপুর ২ নং চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব।এক্ষেত্রেও তিনি সফল। এ কারণেই দল তাকে আবারো নৌকার সারথী করেছে। দেশ এবং দেশের বাইরে পড়াশোনা শেষ করে কোন চাকুরির চিন্তা না করে জনসেবার মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামেন তিনি। একেবারে তরুণ তুর্কীকে চেয়ারম্যান পদে জনগণ ভোটের মাধ্যমে জয়যুক্ত করেন। সেই থেকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি মুকুল চেয়ারম্যানকে।
এরইমধ্যে পেয়েছেন বেশ কয়েকটি পুরস্কার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি এলাকার যেকোন বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে নিয়মিত সচেতনতামূলক পোস্ট করেন। বিচার শালিশের ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন। কয়েকমাস পূর্বে একটি বেওয়ারিশ গরু তিনি বিক্রি করে সেই অর্থ তিনটি মসজিদে দান করেছেন। অথচ অনেক লোভী ব্যক্তি এই গরুকে বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেবার পায়তারাকরেছিলো। এছাড়া কবে কোথায় কিভাবে গণশুনানি, উপকারভোগীদের মাঝে কার্ড বিতরণ, কবে পরিষদে থাকতে পারবেন না সবই তিনি জনগণকে শেয়ার করেন। ফলে সেবার জন্যে এসে কাউকে আর ফিরে যেতে হয়না। পিতা ছিলেন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ। তার সুনামকে তিনি ধরে রেখেছেন মানুষের শ্রদ্ধা ভালোবাসায়।পিতার নামে গড়ে তুলেছেন সামাজিক সংগঠন। এই সংগঠনের ব্যানারে নানা সময়ে ত্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যুব সমাজকে তিনি মূল ধারায় ধরে রাখেন। আবার গরিব অসহায়দের মাঝে বিতরণ করেন নানা সহায়তা সামগ্রি।
করোনাকালিন সময়েও তিনি ছিলেন সেফটির বিষয়ে সোচ্চার। মানুষকে নানাভাবে সচেতন করতে তিনি কাজ করে গেছেন। তার পরিষদের সদস্যদের মাঝে তিনি স্বচ্ছতার সাথে জনসেবা ও জনপাওয়াকে বন্টন করেন। কোনপ্রকার অনৈতিক লেনদেনের মধ্যে তিনি নেই। একারণে তিনি স্থানীয় সরকারের সুনজরে আসেন। পেয়েছেন অনেকগুলো পুরস্কার। স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের অনেকগুলো প্রশিক্ষণ তিনি গ্রহণ করেছেন। এতে করে জন আইন সম্পর্কে আরও স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। অতি সম্প্রতি তিনি পেয়েছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক সোসাইটির সম্মাননা পুরস্কার। এর আগেও তিনি একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। পারিবারিক জীবনেও সুখী এবং সফল মানুষ মুকুল চেয়ারম্যান। এ কারণেই সবার মাঝে একই কথা মুকুল চেয়ারম্যানের এখন একাদশে বৃহস্পতির বর পেয়েছেন। তিনি যে বিষয়েই হাত দিয়েছেন সেখানেই সফল হয়েছেন।একজন সফল রাজনীতিবীদ, দক্ষ জনসেবক, অানন্দমুখর প্রিয়জন, সুবিচারক, সুবিবেচক, দলের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ, যুবসমাজের চেনা মানুষ, ঝানু ক্রীড়া ও সামাজিক সংগঠক মুকুল চেয়ারম্যান জনগণের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করে যাবেন- এমনটিই প্রত্যাশা সাধারণ জনগণের, প্রিয় ইউনিয়নবাসীর।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।