সেবা ডেস্ক : ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে আদায় করা হবে ভূমি উন্নয়ন কর, এছাড়াও কার ভূমি উন্নয়ন কর কত টাকা, সেই তালিকা ভূমি অফিসের নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে রাখার বিধান রেখে ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভা শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান। তিনি বলেন, এখন বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়। নতুন আইন অনুযায়ী জুলাই থেকে জুন মেয়াদে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে। আর্থিক বছরের সঙ্গে এটি সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আগে ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ভূমি উন্নয়ন করা দিতে হতো। এখন সেটা হবে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত।
সচিব বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী এখন থেকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে। ম্যানুয়ালি আর কর আদায় করা যাবে না। কোনো ভূমির মালিক যদি একসঙ্গে তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর না দিয়ে থাকেন তাহলে প্রথম বছর থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত সোয়া ৬ শতাংশ হারে জরিমানাসহ কর আদায় করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবহারভিত্তিক হবে। আগে ২৫ বিঘা পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফ ছিল, এখনো সেটা বলবৎ রয়েছে। কেউ যদি ২৫ বিঘার বেশি জমির মালিক হয়ে থাকেন। তাহলে পুরোটারই ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে।
মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, প্রতি বছর কার ভূমি উন্নয়ন কর কত টাকা, সেটা ইউনিয়ন ভূমি সহাকারী কর্মকর্তা তালিকা তৈরি করে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে পাঠাবেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তা নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেবেন। এ বিষয়ে যদি কারো আপত্তি থাকে, এসিল্যান্ড ও জেলা কালেক্টরের কাছে তিনি আপত্তি দায়ের করতে পারবেন। জেলা কালেকটর তা ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বলেন, গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে বিশেষ সময়ে যেমন করোনা মহামারি, দুর্বিপাক ইত্যাদি সময়ে ভূমি উন্নয়ন কর কমানোর সুযোগ খসড়া আইনে রয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।