সেবা ডেস্ক : এবারের ভালোবাসা দিবসে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ঘর জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া শাশুড়িকে তালাক দিয়েছেন শ্বশুর হালিম সিকদার। গতকাল বৃহস্পতিবার আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই তালাক দেন বলে জানিয়েছেন হালিম সিকদার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মির্জাগঞ্জ গ্রামের হালিম সিকদারের বড় মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের সাইদুল ইসলামের বিয়ে হয় ৫ বছর আগে। বিয়ের পর জামাই সাইদুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস করতেন। হালিম সিকদার কাজের সুবাদে প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকার সুবাদে শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন জামাই সাইদুল ইসলাম। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে যান জামাই সাইদুল ইসলাম।। এ সময় হালিম সিকদার তার ব্যক্তিগত কাজে তার বাবার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঢাকা থেকে এসে জানতে পারেন তার স্ত্রী জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন।
মামলার বাদী হালিম সিকদার বলেন, বিয়ের পর জামাই সাইদুল আমাদের ঘরেই বসবাস করতেন। তাদের একটি ৮ মাসের একটি মেয়ে আছে। আমি মাসে ২০-২৫ দিনের বেশি কাজের প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে থাকতাম। এই সময়ে পরিবারের সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়ান জামাই সাইদুল এবং গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান। অনেক খোজাঁখুজির পর তাদের কোন খোঁজ না পেয়ে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি। আর মানুষের কথা থেকে বাঁচতে স্ত্রীকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তালাক দিয়েছি।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. বাবুল হোসেন বলেন, জামাই এবং শাশুড়ি পলাতক রয়েছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মো আনোয়ার হোসেন বলেন, কোর্টে মামলা হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। তবে এখনও মামলার কোনো কাগজ হাতে পাইনি। আদালতের আদেশ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।