শফিকুল ইসলাম : রৌমারীতে সুমন মিয়া (২২) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে রৌমারী থানা পুলিশ। সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার বড়াইবাড়ী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
সে উপজেলার বড়াইবাড়ী গ্রামের আবু মোতালেব মিয়ার ছেলে। নিহত সুমন চার মাস আগে উপজেলার কলাবাড়ী গ্রামের শুকুর মিয়ার কন্যা সুমি খাতুনের সাথে বিবাহ হয়।
পুলিশ স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানাগেছে, রাত প্রায় আড়াইটার দিকে স্ত্রী সুমি তার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি ডেকে নিয়ে শোয়ার ঘরে নিয়ে যান। পরে নিহতের বাবা-মা দেখতে পান খাটের ওপরে তাঁর ছেলের লাশ দেখে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুঁটে আসে এবং বাবা-মা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা লাশের বিষয়টি পুলিশকে সংবাদ দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। পুলিশ এ ঘটনায় সুমনের স্ত্রী সুমি খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যান।
নিহতের মামা মজনু মিয়া জানায়, আমার ভাগিনা সুমনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এর সঙ্গে ভাগিনার স্ত্রী সুমি’র হাত রয়েছে। তাঁর মোবাইল নম্বরের এসএমএস চেক করলে আসল রহস্য উৎঘাটন হবে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করছি।
পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফিরোজ মিয়া ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, সুমনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কারন লাশের গলায় ও থুথনির নিচে কালো চিহ্ন রয়েছে।
এ ব্যাপারে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ রূপ কুমার সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে পরকিয়া’র কারনে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে মনে করছি। তবে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো’র প্রস্তুতি চলছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে নিহতের স্ত্রী সুমিকে থানায় আনা হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।