নিজস্ব প্রতিবেদক : আপীল শুনানি চেয়ে জামালপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) শ্রাবস্তী রায় ও তথ্য ও অভিযোগ শাখার সহকারী কমিশনার নুসরাত জাহানের বরাবর আবেদন করেছেন সাংবাদিক মাসুদুর রহমান।
২ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তিনি এ আবেদন করেন। মাসুদুর রহমান দৈনিক জনবাণী পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও দৈনিক আলোচিত জামালপুর পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
জানা যায়, ২০২২ সালের ১৯ জুন টিআর,কাবিটা,কাবিখা,জিআর এবং এডিপি,এলজিএসপি/উন্নয়ন সহায়তা,সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে ১% অর্থের তথ্য ও কোন উন্নয়ন ব্যবহার হয়ে থাকলে সেই বরাদ্দের তালিকা চেয়ে প্রায় ৬ টি আবেদন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা কোন তথ্য দেয়নি এবং কেন তথ্য দিতে পারেনি সেই বিষয়টি নিয়ে জবাব দেয় হয়নি। পরবর্তীতে
তথ্য অধিকার আইন (আইনের বিধি ৩-এর ফরম 'ক') অনুযায়ী আবারো ৯ নভেম্বর সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর টিআর,কাবিটা,কাবিখা,জিআর ২০১৮-১৯,১৯-২০, ২০-২১,২১-২২ অর্থ বছরের ১ম ও ২য় পর্যায়,২০২২-২৩ অর্থ বছরের ১ম পর্যায় সাধারণ ও বিশেষ বরাদ্দের প্রকল্পের তালিকা ও প্রকল্প কমিটির তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। আবেদন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা (উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা) হুমায়ুন কবির তাকে তথ্য না দিয়ে নানাভাবে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও তথ্য না পাওয়ায় আইনের ধারা ৮-এর উপধারা (১), (২), (৩) অনুযায়ী ৯ জানুয়ারী সোমবার দুপুরে জামালপুর জেলা প্রশাসক বরাবর তিনি আপিল (আইনের বিধি ৬-এর ফরম 'গ') আবেদন করেন।আবেদনের প্রেক্ষিতে আপনি আপীল শুনানির জন্য ১৯ জানুয়ারী তারিখ ধার্য করেন সহকারী কমিশনার নুসরাত জাহান । জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ফরম পুরণের জন্য ঢাকা থাকায় জেলা প্রশাসকের মেইলে সময়ের প্রার্থনা আবেদন করেন মাসুদ । কলেজের ফরম পুরনের কাজ শেষ করে তিনি ২৫ জানুয়ারী সকালে ঢাকা থেকে এসে ২৬ জানুয়ারী আপীল শুনানী চেয়ে ডিসির বরাবর আবেদন করেন । এ ছাড়াও ২য় বারের মতো জেলা প্রশাসক বরাবর আপীল আবেদনের শুনানি চেয়ে ২ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার আবেদন করেন।
আরো জানা যায়, সরকার অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন করেছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা যোগদানের পর থেকে সাংবাদিকদের একাধিক আবেদন পড়লেও সরিষাবাড়ীতে তথ্য নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকরাই সরকারি তথ্য পেতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সেখানে সাধারণ মানুষের তথ্যপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চয়তার বাইরে। উপজেলা প্রশাসনের কাছে অনেকেরই অসংখ্য আবেদন ফাইলবন্দি পড়ে আছে।
এ বিষয়ে মাসুদুর রহমান জানান, আপীল শুনানির দিন অনার্স ৩য় বর্ষের ফরম পুরনের জন্য ঢাকাতে থাকায় আমি সময়ের প্রার্থনা দিয়েছিলাম। আমি আবারো আপীল শুনানী দিন ধার্যের জন্য আবেদন দিয়েছি। আর সরিষাবাড়ীতে আবেদন দিয়েও কোন সাংবাদিক তথ্য পায়না।
এ বিষয়ে জামালপুর জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, সময়ের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। পরবর্তী তারিখ পত্র মারফত জানানো হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।