সেবা ডেস্ক : সারা বছরই দেশের বাজারে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল ও শাক-সবজি পাওয়া যায়। পরিবেশ, আবহাওয়া ও আপনি কোন অঞ্চলে আছেন তার ওপর নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত।
এখন শীতকাল, শীতের এই সময়ে আমাদের দেশে প্রচুর পরিমানে মিষ্টি আলু পাওয়া যায়। লালচে বেগুনি রঙের এই আলু দিয়ে সবজির বিভিন্ন ধরন রান্না করা যায়। কেউ সিদ্ধ করে, কেউ পুড়িয়ে খেতেও পছন্দ করেন। কিন্তু মিষ্টি আলু কী সত্যি উপকারী? মিষ্টি স্বাদের কারণে কী এটি অল্প করে খেতে হবে? চলুন জেনে নেয়া যাক মিষ্টি আলুর পুষ্টি, স্বাস্থ্য উপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে-
মিষ্টি আলুতে থাকা ফাইবার, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন-এ, বি এবং সি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে থাকা পটাশিয়াম, ফাইবার হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। মিষ্টি আলুতে থাকা পটাশিয়াম, ফাইবার হৃদরোগ সম্পর্কিত যে কোনো সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। শীতকালে অ্যাজমা রোগীদের বেশি সমস্যা হয়। মিষ্টি আলু খেলে অ্যাজমায় আক্রান্তরা স্বস্তি পেতে পারেন। শীতের সময় কাশি-সর্দি, ভাইরাল ফিভার হয়। মিষ্টি আলুতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে পারে। এছাড়া মিষ্টি আলু শরীরে আয়রন শোষণে এবং রক্তের ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে। মিষ্টি আলু খেলে চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। চোখ ভালো রাখতে এ সময় খাদ্য তালিকায় মিষ্টি আলু অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। মিষ্টি আলুতে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে। এই ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখে। মিষ্টি আলুতে থাকা নানা যৌগ রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। সিদ্ধ করা মিষ্টি আলুতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে, যার অর্থ হলো এই খাবারটি অন্য খাবারের মতো রক্তে শর্করা বাড়াবে না। মিষ্টি আলু শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে এবং চর্বি কোষগুলোর বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। যার ফলে এই খাবারটি ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।