সেবা ডেস্ক : জামালপুরের বকশীগঞ্জে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা পন্ড করতে ডিজি প্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্টদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার মালিরচর মৌলভী পাড়া দাখিল মাদ্রাসায় এঘটনা ঘটে পরে নিরাপত্তাজনিত কারণে নিয়োগ পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়া হয়।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এঘটনায় বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মাদ্রাসার সুপার মো. আ ছাত্তার।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই মাদ্রাসায় নবসৃষ্ট একজন নিরাপত্তা কর্মী ও একজন আয়া পদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষার্থীদের নিকট চিঠি ইস্যু করা হয় শনিবার সকাল ৯ টায় উক্ত মাদ্রাসায় আয়া পদে ৮জন এবং নিরাপত্তা প্রহরী পদে ৭জন অংশ গ্রহণ করার কথা ছিল এদিন লিখিত ও সাক্ষাতকারের জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। দুপুর সাড়ে ১২ টায় পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এর প্রতিনিধি উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ) জাহাঙ্গীর আলম , উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছরুয়ার আলম, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবদুল হামিদ ও শিক্ষক প্রতিনিধি মাদ্রাসায় উপস্থিত হলে স্থানীয় গোলাম সারোয়ার , খায়রুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, আ খালেক সহ তাদের লোকজন ডিজি প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের হামলা চালায় এক পর্যায়ে নিয়োগ কমিটির কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে অভিযুক্তরা।
খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায় পরে নিরাপত্তাজনিত কারণে নিয়োগ পরীক্ষার কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়।
নিয়োগ পরীক্ষা পন্ড করতে গিয়ে ডিজির প্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্টদের ওপর হামলার ঘটনায় রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ৭ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মাদ্রাসার সুপার মো. আ ছাত্তার।
হামলার বিষয়ে অভিযুক্ত খায়রুল ইসলাম জানান, ডিজি প্রতিনিধির ওপর হামলার প্রশ্নই আসে না তিনি ঘটনাস্থলে এলেও এক মিনিটও অবস্থান করেন নি।
আরেক অভিযুক্ত ব্যক্তি জানান, নিয়োগ পরীক্ষা পন্ড করতে নয় স্থানীয় এলাকাবাসী মাদ্রাসা সুপার আ. ছাত্তারের নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল।
মাদ্রাসার সুপার মো. আ ছাত্তার জানান, অভিযুক্তরা মাদ্রাসার নিয়োগ কার্যক্রম পন্ড করতে দীর্ঘদিন থেকে অপচষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এ কারণে তারা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগও অস্বীকার করেন এই সুপার।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি মো. সোহেল রানা জানান, এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।