সেবা ডেস্ক : সড়ক পরিবহনে যত্’রতত্’র ব্যবহা’র হচ্ছে অবৈধ এলইডি হেডলাইট। এতে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। গাড়ী’র উজ্জ্বল আলো’র কা’রণে ক্ষতি হচ্ছে মানুষে’র দৃষ্টিশক্তি’র।
হেডলাইটে’র অর্ধেক অংশ কালো রং করা’র সুপারিশ করে জাতীয় সংসদে’র সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্’রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। কিন্তু সাড়ে তিন বছরেও এই সুপারিশ বাস্তবায়ন করেনি সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআ’রটিএ)।
উল্টো হেডলাইটে’র অর্ধেক কালো রং করা’র বিপক্ষে মতামত দিয়েছে সংস্থাটি। তবে যানবাহনে’র উজ্জ্বল আলো নিয়ন্ত্’রণে হেডলাইটে’র অর্ধেক অংশে কালো রং লাগানো ও অবৈধ এলইডি হেডলাইটে’র ব্যবহা’র বন্ধে’র কঠো’র ব্যবস্থা গ্’রহণে’র পরামর্শ গণপরিবহন বিশেষজ্ঞদে’র।
জানা গেছে, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে গত বৃহস্পতিবা’র ২৯ ডিসেম্ব’র রাতে মোট’রসাইকেল নিয়ন্ত্’রণ হারিয়ে নিহত হয় দুই কিশো’র। স্থানীয়রা জানান, ট্রাকে’র উজ্জ্বল আলো’র কা’রণে রাস্তা দেখতে না পেরে নিয়ন্ত্’রণ হারিয়ে ফেলে মোট’রসাইকেলটি। এ’র আগে একইভাবে রংপুরে রাতে’র যানবাহনে’র উজ্জ্বল আলো’র কা’রণে সড়কে’র গতিরোধক দেখতে না পেরে মোট’রসাইকেল উল্টে নিহত হয়েছিল দুই যুবক।
এভাবে প্’রতিদিন দেশে’র বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে’র অবৈধ এলইডি হেডলাইটে’র কা’রণে সড়ক দুর্ঘটনায় মোট’রসাইকেল আরোহী ও পথচারী নিহতে’র সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বেস’রকারি তথ্যমতে গত এক বছরে ৬৭৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯৯৫১ জন নিহত ও ১২৩৫৬ জন আহত হয়েছে। এ’র মধ্যে ২ হাজা’র ৯০০টি মোট’রসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রায় ৩০০০ জন আরোহী ও সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫০৩ জন পথচারী নিহত হয়েছে। এ সব দুর্ঘটনায় বেশিভাগেই বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে সংগঠিত হয়েছে।
দুর্ঘটনা’র জন্য যানবাহনে’র বেপরোয়া গতি, বিপজ্জনক অভা’রটেকিং, ফিটনেসবিহীন যানবাহনে’র অবাধে চলাচল, চালকে’র অদক্ষতা’র পাশাপাশি যানবাহনে’র অবৈধ এলইডি হেডলাইটে’র কা’রনেও বেশি ঘটছে বলে মনে করেন গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা। তাই যানবাহনে’র উজ্জ্বল আলো নিয়ন্ত্’রণে হেডলাইটে’র অর্ধেক অংশে কালো রং লাগানো ও অবৈধ এলইডি হেডলাইটে’র ব্যবহা’র বন্ধে’র কঠো’র ব্যবস্থা গ্’রহনে’র পরামর্শ তাদে’র।
এ বিষয়ে গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটে’র অধ্যাপক ড. সামছুল হক বলেন, ‘বর্তমানে’র বিভিন্ন যানবাহনে উজ্জ্বল আলো’র এলইডি’র হেডলাইট ব্যবহা’র করা হচ্ছে। এ সব বাতি সহজে কিনতে পাওয়া যায়। গাড়ী’র ফিটনেসে’র সময় এই সব লাইটে’র মান নির্ণয় করা হয়। হেডলাইটে’র আলোতে মানুষে’র চোখে’র যেন সমস্যা না হয় সে বিষয়গুলো দেখা হয়। কিন্তু বর্তমানে’র বিআ’রটিএ’র কর্মকর্তারা গাড়ী’র ফিটনেসে’র জন্য এখন শুধু টাকা জমা দেয়া’র ‘রশিদ বুঝে নেওয়া হয়। গাড়ী’র যাবতীয় ফিটনেস তারা দেখে না।
তাই শুধু মহাসড়কে নয় রাজধানী’রসহ সারাদেশে’র যানবাহনে এখন তীব্’র আলো’র এলইডি লাইট ব্যবহা’র করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ সব লাইট ব্যবহারে চালকদে’র অত্যন্ত ঝুঁকি’র মধ্যে ফিলে দেয়। এ’র ফলে শুধু মহাসড়ক নয় রাজধানী’র ভেতরে সড়ক দুর্ঘটনা দিন দিন বাড়ছে।’ তাই যানবাহনে’র উজ্জ্বল আলো নিয়ন্ত্’রণে হেডলাইটে’র অর্ধেক অংশে কালো রং লাগানো ও অবৈধ এলইডি হেডলাইটে’র ব্যবহা’র বন্ধে’র কঠো’র ব্যবস্থা গ্’রহণে’র পরামর্শ দেন তিনি।
মোট’রযানে এলইডি লাইট ব্যবহা’র সম্পূর্ণ অবৈধ ॥ শুধু ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক ও রংপু’র আঞ্চলিক সড়ক নয় সারাদেশে’র সব ‘রকম যানবাহনে এখন ব্যবহা’র করা হচ্ছে উজ্জ্বল আলো’র এলইডি হেডলাইট। মাত্’র ৩০০ থেকে ১২০০ টাকায় এসব কম দামী এলইডি হেডলাইট ব্যবহা’র ক’রছে ট্রাক, পিকআপ, বাস, মোট’রসাইকেল, অটোরিক্সা ও নসিমন-করিমনসহ ছোট যানবাহনগুলো।
রাজধানী’র ঢাকা’র প্’রতিটি সড়কে এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এলইডি হেডলাইটে’র ট্রাক-পিকআপসহসহ ছোট ছোট যানবাহনগুলো। অথচ মোট’রযানে’র প্’রকৃত হেডলাইট ব্যতীত অন্য যে কোনো লাইটযুক্ত করে যানবাহন চালানো সম্পূর্ণ অবৈধ ও দ-নীয় অপরাধ বলে জানান সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআ’রটিএ) কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে বিআ’রটিএ’’র পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-’রব্বানী জানান, ‘গাড়ী’র সঙ্গে যুক্ত হেডলাইট ব্যতীত অন্য যে কোনো এলইডি লাইট ব্যবহা’র সম্পূর্ণ অবৈধ। তবে হেডলাইট ব্যবহারে’র ক্ষেত্রে প্’রয়োজনীয় নিয়ম মেনে মোট’রযান চালাতে হবে চালকদে’র। এক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্’রহন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে চালকদে’র জেল-জরিমানা’র বিধান ‘রয়েছে সড়ক পরিবহন আইনে।’
জানা গেছে, প্’রতিদিন দেশে’র বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন মানুষ। সড়ক দুর্ঘটনায় নতুন কা’রনযুক্ত হয়েছে যানবাহনে’র এলইডি লাইট। অত্যধিক উজ্জ্বল ও সাদা আলো’র কা’রণে ইদানীং অনেকেই যানবাহনে’র হেডলাইট হিসেবে এই বাতি ব্যবহা’র ক’রছে। এলইডি হেডলাইটে’র আলো’র এত তীব্’র যে বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনে’র চালকরা কিছুই দেখতে পায় না। মুহূর্তে যেন অন্ধকা’র হয়ে যান। আ’র তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। সাম্প্’রতিক সময়ে মহাসড়কে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি’র এটি একটি অন্যতম কা’রণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে বেস’রকারি সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশনে’র নির্বাহী পরিচালক সাইদু’র ‘রহমান জানান, ‘বর্তমানে বিভিন্ন গাড়ীতে কম দামে’র এ সব এলইডি লাইটে’র উজ্জ্বল আলো ব্যবহারে’র কা’রণে দুর্ঘটনা’র সংখ্যা বাড়ছে। এ সব উজ্জ্বল আলো’র কা’রণে বিপরীত থেকে আসা গাড়ী’র দূ’রত্ব বুঝা যায় না। কাছকাছি আসতে দুর্ঘটনা’র শিকা’র হয় ছোট যানবাহনগুলো।
এ ছাড়া গাড়ী’র উজ্জ্বল আলো’র কা’রণে চোখে দেখতে সমস্যা হয়। তাই গাড়ীতে কম দামে’র এ সব এলইডি লাইট ব্যবহা’র পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা উচিত।’ এ ছাড়া যানবাহনে’র হেডলাইটে’র কা’রণে যাতে অন্য চালকে’র চোখে’র সমস্যা না হয় সেজন্য হেডলাইটে’র অর্ধেক কালো রং করা’র পরামর্শ দেন তিনি।
সাড়ে তিন বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি স্থায়ী কমিটি’র সুপারিশ ॥ ২০১৯ সালে’র জুলাই মাসে ‘দৃষ্টিশক্তি’র ক্ষতি রোধে যানবাহনে’র হেডলাইটে’র অর্ধেক অংশে কালো রং করা’র সুপারিশ’ করে জাতীয় সংসদে’র সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্’রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। কিন্তু সাড়ে তিন বছরেও এই সুপারিশ বাস্তবায়ন করেনি সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইটিএ)। উল্টো হেডলাইটে’র অর্ধেক কালো রং করা’র বিপক্ষে মতামত দিয়েছে সংস্থাটি।
বিআ’রটিএ’র পরিচালক ইঞ্জিনিয়ারিং শাখা থেকে স্থায়ী কমিটিকে প্রে’রণ করা এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, রাতে’র বেলা বা কম আলোতে সড়কপথে’র নিরাপত্তা নিশ্চিত ক’রতে স্বাভাবিকভাবে মোট’রযান চালানো’র সময় সড়কে’র ট্রাফিক কন্ডিশন বিবেচনায় প্’রয়োজন অনুযায়ী উভয় হেড লাইটে’র আপা’র (উপরে) ও লোয়া’র (নিচে’র) বীম ব্যবহা’র করা হয়। রাতে’র সড়কপথে’র গাড়ী চালানো’র সময় সামনে’র দূ’রবর্তী পথে কোন মোট’রযান আছে কিনা তা দেখা’র জন্যই চালক কেবল আপা’র বিম ব্যবহা’র ক’রবে।
তবে বিপরীত দিক থেকে আসা কোন গাড়ী দেখা মাত্’র আপা’র বিমে’র পরিবর্তে হেডলাইটে’র লোয়া’র বিম ব্যবহা’র করাই প্’রচলিত ট্রাফিক রীতি। এ বিষয়ে ব্যত্যয় ঘটলে সেটা চালকে’র ত্রুটি। তাই এই ত্রুটিপূর্ণ ড্রাইভিংয়ে’র জন্য মোট’রযান আইন অনুযায়ী দ-নীয় অপরাধ।
তবে এজন্য হেডলাইটে’র উপরে’র অংশে কালো রং করা হলে রাতে মোট’রযান চালানো’র সময় দূ’রবর্তী ট্রাফিক কন্ডিশন দেখতে সমস্যা হবে। এতে দ্রুতগতি’র মোট’রযান চলাচলে’র ক্ষেত্রে সড়কে’র নিরাপত্তা বিঘিœত হবে। ফলে মুখোমুখি সড়ক দুর্ঘটনা’র বৃদ্ধি’র সম্ভাবনা ‘রয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই দৃষ্টিশক্তি’র ক্ষতি রোধে যানবাহনে’র হেডলাইটে’র অর্ধেক অংশে কালো রং না করে প্’রয়োজন অনুযায়ী হেডলাইটে’র আপা’র ও লোয়া’র বীম ব্যবহারে’র জন্য চালকদে’র প্’রশিক্ষণে’র পরামর্শ দিয়েছেন বিআ’রটিএ’র কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে বিআ’রটিএ’র পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শীতাংশু শেখ’র বিশ্বাস জানান, ‘বিশ্বে’র কোথাও গাড়ী’র হেডলাইট অর্ধেক কালো করা’র নিয়ম নেই। গাড়ী’র হেডলাইন প্’রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহারে’র বিষয়ে চালকে’র প্’রশিক্ষণ আ’রও কড়াকড়ি করা দ’রকা’র। তবে বাংলাদেশে’র বর্তমান প্রেক্ষিতে গাড়ী হেডলাইটে’র আপা’র বিম ব্যবহারে’র প্’রয়োজন হয় না।’ তাই এক্ষেত্রে হাইওয়ে পুলিশদে’র সতর্ক হওয়া’র পরামর্শ দেন তিনি।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশে’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপা’র (অপারেশন) মো. রুহুল আমিন জানান, ‘গাড়ী অবৈধ এলইডি লাইট ব্যবহা’র বন্ধে বিভিন্ন সময় পুলিশে’র পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু মহাসড়ক এত গাড়ী যে নিয়ন্ত্’রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবু আমরা আমাদে’র সাধ্য অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।’
উজ্জ্বল আলোতে দেখতে সমস্যা হয় অন্য চালকদে’র ॥ সরেজমিন রাজধানী’র বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, শুধু বাস-ট্রাক নয় সব ধ’রনে’র যানবাহনে এখন উজ্জ্বল আলো’র এলইডি লাইট ব্যবহা’র করা হচ্ছে। এমন কি সিটি ক’রপোরেশনে’র ময়লা পরিবহনে’র গাড়ীতেও হেডলাইটে’র পাশাপাশি দুই থেকে তিনটি করে উজ্জ্বল আলো’র এলইডি লাইট ব্যবহা’র করা হচ্ছে। এতে রাস্তা পারাপারে’র গাড়ী দূ’রত্ব বোঝা যায় না। এ ছাড়া গাড়ী’র আলো সরাসরি চোখে’র পড়া’র কা’রণে দেখতে সমস্যা হয় ভুক্তভোগী চালক ও পথচারীরা জানান।
এ বিষয়ে রাজধানী’র মানিকনগ’র এলাকায় মিলন নামে’র এক পথচারী জানান, ‘রাতে’র বেলায় মানিকনগ’র এলাকায় রাস্তা পারাপারে অনেক সমস্যা হয়। এমনতেই জনপথ সড়কটি যানবাহনে’র চাপ থাকে বেশী। তা’রপ’র গাড়ী’র লাইটে’র তীব্’র আলো’র কা’রণে গাড়ী’র দূ’রত্ব বুঝা যায় না। গাড়ী হেডলাইটে’র আলো’র সরাসরি চোখে পড়ে এতে রাস্তা দেখতে সমস্যা হয়।’ তাই মানিকনগ’র বাস স্ট্যান্ডে ফুটওভা’র ব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পা’র হতে হয় বলে জানান তিনি।
আনোয়া’র হক নামে’র এক মোট’রসাইকেল চালক জনকন্ঠ’কে বলেন, ‘বড় বড় বাস ও ট্রাকসহ সব গাড়ীতে এখন তীব্’র আলো’র এলইডি লাইট ব্যবহা’র করে। এতে রাস্তায় মোট’রসাইকেল চালাতে অনেক সমস্যা হয়। মাঝে মধ্যে বাইক থামিয়ে রাস্তা’র পাশে দাঁড়িয়ে থাকি। বড় বাস ও ট্রাক যাওয়া’র প’র আস্তে আস্তে যেতে হয়। কা’রণ এই তীব্’র আলো’র কা’রণে রাস্তা দেখা যায় না।একটু বেগতিক চালালেই বাস ও ট্রাকে’র নিচে চাপা পড়তে হবে।’
দৃষ্টিশক্তি’র মারাত্মক ক্ষতি’র আশঙ্কা ॥ এলইডি লাইট মানুষে’র চোখে’র জন্য মারাত্মক ক্ষতিক’র। চক্ষু বিশেষজ্ঞদে’র মতে, সহনীয় মাত্রা’র বেশি আলোক’রশ্মি উৎপন্ন করায় এলইডি লাইট সরাসরি চোখে’র রেটিনায় আঘাত করে। এতে দৃষ্টিশক্তি’র উপ’র মারাত্মক প্’রভাব পড়ে। কাজেই যানবাহনে এ ধ’রনে’র লাইটে’র ব্যবহা’র পরিহা’র করা উচিত।
রাজধানীসহ শহরাঞ্চলে’র যানবাহনে এলইডি লাইটে’র ব্যবহা’র শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছ’র আগেই। বর্তমানে বাস, ট্রাক থেকে শুরু করে পিকআপভ্যান, অটোরিকশা, এমনকি ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ভ্যানে ব্যবহা’র করা হচ্ছে এ সব এলইডি লাইট। এতে একদিকে যেমন দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপ’রদিকে মানুষে’র দৃষ্টিশক্তি’র ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)’’র ভাইস চ্যান্সেল’র অধ্যাপক ডা. মো. শা’রফুদ্দিন আহমেদ জানান, ‘যানবাহনে এলইডি লাইটে’র উজ্জ্বল আলো’র কা’রণে মানুষে’র চোখে’র মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। চলা’রপথে যখন অন্ধকারে’র মধ্যে হঠাৎ তীব্’র আলো চোখে পড়লে দৃষ্টিশক্তি’র ওপ’র প্’রভাব পড়ে। তখন সামনে’র কিছুই দেখা যায় না। এতে দুর্ঘটনা হওয়া’র সম্ভাবনা থাকে।
এছাড়া যাদে’র দৃষ্টিশক্তি কম অনেক সমস্যা হয়। এটা দীর্ঘদিন ব্যবহৃত হলে মানুষে’র দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকবে।’ তাই যানবাহনে’র এ সব অবৈধ এলইডি লাইট বন্ধে’র পরামর্শ দেন তিনি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।