শফিকুল ইসলাম : ভবনের ছাদে ফুলের বাগান, বারান্দায় কবুতর পালন, মাঝখানে পানির হাউজে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, সামনে দৃষ্টিনন্দন বাহারী ফুলের চাষ, এক ডজন সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং ডজনখানেক সার্চ লাইটের ঝলকে দৃশ্যপট পাল্টে গেছে রৌমারী থানার চিত্র।
এসব সৌন্দর্য উপভোগ ও ভালোবাসা নেওয়ার জন্য সর্বস্তরের মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে আসছেন থানায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভীর।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় ১৯৬৮ সালে উত্তরবঙ্গের মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে রৌমারী থানাটি স্থাপিত হয়। কালের বিবর্তনে ও ধারাবাহিকতায় ১৯৮৪ সালে কয়েকটি ভবন তৈরি করে একজন ওসির দায়িত্বে নির্মিত হয় ভবন। অপর দিকে ২০০৪ সালে জনতার রোশানলে আক্রমনে থানাটি ভাংচুর করা হয়। ২০০৭ সালে স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্যের কোটি টাকা মুল্যের নোহা গাড়িটি পেট্রোল লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সবকিছু মুলে থানাটি ছিল অরক্ষিত। একাধীকবার ওপেন হাউডেতে পুলিশের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট থানার সীমানা প্রাচীর নির্মাণের দাবী জানানো হয়। যার প্রেক্ষিতে ২০২০ সালে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। বর্তমান দায়িত্বপাপ্ত রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ রুপ কুমার সরকার যোগদানের পর নিজস্ব উদ্যোগে থানার চত্বরে মাটি ভরাটের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন এসব কাজে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন রৌমারী উপজেলাবাসীকে।
দেশের কোথাও ফাঁকা জায়গা থাকবে না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে প্রধান্য দিয়ে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানার পরিত্যক্ত চত্বরে লাগানো হয়েছে সারিবদ্ধ ফুলের গাছ। থানার প্রথম গেট সংযোগ ভিতরের রাস্তার দুই পাশে, থানা জামে মসজিদের পরিত্যক্ত জায়গায় ও আশপাশে যত ফাঁকা জায়গা রয়েছে সেখানেই বিভিন্ন প্রকার গাঁদাফুলের গাছ লাগানো হয়েছে গত কয়েক সপ্তাহ আগে। প্রতিটি গাছে লাল ও হলুদ রঙ্গের ফুল ধরেছে। থানার প্রথম গেট থেকে ভীতরে নজর দিলেই চোখে পড়ে বাহারি ফুল। মুগ্ধ হয় সবার মন। অংঢং করে সকল মানুষ ছবি উঠে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের প্রিয়জনদের দেখার জন্য।
থানার দ্বিতীয় গেট পেরিয়ে ভবনের মাঝখানে একটি ফাঁকা জায়গায় পানির হাউজ বানিয়ে হাটু পানিতে কার্পু, পুটি, মৃগেল, গোলশা, টাকই, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা হয়েছে। মাছগুলো সার্বক্ষনিক ঢেউ তুলে আনন্দে চলাচল করছে। যা দেখলে খুবই ভালো লাগে। প্রতি সপ্তাহে পুরাতন পানি পরিবর্তন করে নতুন পানি দেওয়া হচ্ছে ওই হাউজে। অতি আনন্দে মাছগুলোর যতœ করছেন থানা পুলিশের সকল সদস্যগণ। ভবনের ছাদে ফুলের বাগান ও বারান্দায় কবুতর পালন করায় এলাকায় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ রুপ কুমার সরকার। থানায় কোন অভিযোগকারি বা সাধারণ মানুষ থানায় প্রবেশ করে এসব ফুলের বাগান, মাছ চাষ ও কবুতর দেখে খুবই আনন্দিত হন। বিকালের দিকে ফুলের বাগান দেখার জন্য দর্শনীয়দের ভীর জমে এবং ফটোশেসনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে দর্শনীয়রা।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ রুপ কুমার সরকার জানান,আমি নিজেও ফুলকে ভালোবাসি। তাই থানা চত্বরে পরিত্যক্ত জায়গায় ফুলের চাষ, ভীতরে মাছের চাষ, কবুতর ও ভবনের ছাদে ফুলের চাষ করি। এসব দেখে এলাকাবাসি খুবই আনন্দিত হচ্ছে। অপর দিকে এসব কাজে শুধু আমি না খানার স্টাফরা আমাকে উৎসাহ ও সহযোগিতা করেছেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।