সেবা ডেস্ক : হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই দেশের দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে। প্রথম মেয়াদে (১৯৯৬-২০০১) ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার বয়স্ক ভাতাসহ অন্যান্য ভাতার প্রচলন করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের শুরুতেই অসহায়, অনগ্রসর মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। ১৯৭৪ সালে সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি প্রবর্তন করেন। শিশু সুরক্ষা ও উন্নয়নে শিশু আইন, ১৯৭৪ প্রণয়ন করেন।
মুজিববর্ষে কোনো মানুষই আশ্রয়হীন থাকবে না বলে আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান ঘোষণা দেন। এই ঘোষণা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সরকার দেশের ভূমিহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৫ লাখ মানুষকে বিনামূল্যে ঘর নির্মাণ করে দিয়ে পুনর্বাসন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রশিক্ষণ ও নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে ২ কোটি ৫৩ লাখ ছাত্র-ছাত্রীকে বিভিন্ন বৃত্তি ও উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীকে প্রতিবছর বিনামূল্যে বই দেওয়া হচ্ছে।
শহর থেকে গ্রাম - প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে ‘সকলের ঘর আলোকিত করেছে। সুপেয় পানি, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। কম্পিউটার শিক্ষা, ব্রডব্যান্ড, ইন্টারনেট সংযোগ গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গেছে।
দেশের ২ কোটি কৃষক কৃষি উপকরণ কার্ড দিয়ে স্বল্পমূল্যে সার, বীজসহ অন্যান্য উপকরণ সংগ্রহ করতে পারছেন। ১ কোটি কৃষক ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খুলেছেন। ভর্তুকির টাকা সরাসরি ব্যাংকে জমা হয়। সেচের জন্য সুলভমূল্যে বিদ্যুৎ এবং কৃষিযন্ত্র ক্রয়ে ৭০% ভর্তুকি পাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ সরকার দেশের দুস্থ, দরিদ্র, অসহায় শিশু, প্রতিবন্ধী, কিশোর-কিশোরী, স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ও প্রবীণ ব্যক্তিসহ সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধী এবং মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ প্রান্তিক মানুষের জন্য বিভিন্ন ভাতা চালু করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এসব ভাতাভোগীর সংখ্যা এবং টাকার পরিমাণ উভয়ই বৃদ্ধি করা হয়েছে। সমাজের সকল অনগ্রসর শ্রেণির মানুষ যেমন, হিজড়া, বেদে, হরিজন, সুইপার, চা শ্রমিক - এদের জন্য বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষাভাতা ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।
মুজিববর্ষে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতাভোগীদের অর্থ জিটুপি পদ্ধতিতে হাতের মুঠোয় পৌঁছে দিয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে শতভাগ ভাতাভোগীর অর্থ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান করে সে অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করেছে। চা-বাগানের শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। তৃতীয় লিঙ্গ, বেদে ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ, বিশেষভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ চিকিৎসাসেবা ও সহায়তা পাচ্ছে।
এছাড়াও দেশের দুস্থ, অসহায় ও প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নতুন নতুন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।