শফিকুল ইসলাম : কুড়িগ্রামের রৌমারীতে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি’র প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ বিষয়ে তদন্ত সংক্রান্ত ঘটনায় উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোকতার হোসেনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক নুরুন্নবী-কর্মচারী আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজারের অফিসে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের ফুলকারচর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী।
জানাগেছে, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি’র প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত করতে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোকতার হোসেনকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেন। পরে এ বিষয়ে তদন্ত করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোকতার হোসেন। এদিকে গত বৃহস্পতিবার অফিস চলাকালিন সময়ে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজারের অফিস কক্ষে ঢুকে তদন্ত কর্মকর্তা মোকতার হোসেনকে লাঞ্ছিত করেন ফুলকারচর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নরুন্নবী ও কর্মচারী আব্দুর রশিদ।
অভিযুক্ত কর্মচারী আব্দুর রশিদ বলেন, তদন্ত সম্পর্কে একাডেমিক সুপারভাইজারের নিকট গিয়েছিলাম। তবে সেখানে প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবী স্যারের সঙ্গে কথাকাটাটি হয়েছিল। তবে একাডেমিক স্যারের গায়ে হাত তুলেনি। লাঞ্ছিতের বিষয় কেউ বললে তা মিথ্যা।
অভিযুক্ত শিক্ষক নুরুন্নবী বলেন, তদন্ত নিয়ে একাডেমিক সুপারভাইজার নানা তালবাহনা করার ফলে তার ওপর সামন্য রেগে ছিলাম তা সঠিক। তিনি আরও বলেন, আমি মাউশি থেকে বৈধ প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি। কাজে ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন সংক্রান্ত আমি দেখব বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. মোকতার হোসেন বলেন, তদন্ত বিষয়ে আমাকে তারা অন্যায়ভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। পরে মাধ্যমিক অফিসার ও ইউএনও মহোদয়কে অভিযোগ দিয়েছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আইবুল ইসলাম বলেন, অফিসের বাইরে ছিলাম, অফিসে এসে ঘটনার বিষয়ে শুনেছি।
এ প্রসেঙ্গ মুঠোফোনে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এবিএম সারোয়ার রাব্বি জানান, এ বিষয়ে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোকতার হোসেন অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের বিষয়টি পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।