জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ী যমুনা সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
সরিষাবাড়ীতে সংঘর্ষের পুলিশসহ ১৫ জন আহত ঘটনায় আ.লীগের শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা, ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী ও ইউপি সদস্যসহ আটক ১০ |
আরও পড়ুন: সরিষাবাড়ীতে আ.লীগের দু'গ্রুপে সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ আহত ১৫
এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেলি আক্তারের স্বামী মোস্তাক হোসেন ও পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোফাজ্জল হোসেনসহ ১০ জনকে আটক করেছে ।
১৬ ডিসেম্বর এসআই আব্দুল মালেক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৫২ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৬০-৬৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে যমুনা সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও পোগলদিঘা ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এসময় একপক্ষের বিরুদ্ধে গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠে। সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ উভয়গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, আওয়ামী লীগের দুইপক্ষে সংঘর্ষের সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সরকারি কাজে বাধা ও হামলার শিকার হন। এসময় তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ায় উভয়পক্ষের চিহ্নিত ৫২ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৬০-৬৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই কয়েকজনকে আটক এবং অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, যমুনা সার কারখানায় পরিবহন চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ৩০ অক্টোবর রফিকুল ইসলাম ও আশরাফুল আলম মানিক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হলে এসআই আব্দুল আজিজ বাদি হয়ে রফিকুল ইসলামকে ১নং ও আশরাফুল আলম মানিককে ২নং আসামী করে উভয়পক্ষের ১২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার আসামীরা আদালত থেকে জামিনে আসার আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।