নিজস্ব প্রতিবেদক : দুঃসময়ের কর্মীরাই দলের আসল বন্ধু বলে মন্তব্য করেছেন সরিষাবাড়ী আসনের নৌকা প্রতিকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আনিছুর রহমান এলিন । তিনি আরো বলেন,ত্যাগী নেতাদের আর কোনঠাসা করে রাখা যাবে না।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ করে মাঠে কাজ করে যেতে হবে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই বিএনপি সব সময় আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা আমাদেরই করতে হবে। ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মতাদর্শে ১৯৯৪ সালে সরিষাবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে এলিনের সুচনা হয়। পরবর্তীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তার বাড়ীতে হামলা, লুটতরাজ ও ২০০৪ সালে ধানাটা চানের বাড়ীর পার্শে তার বাবার ওপর হামলা করে লাঞ্চিত করে জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমের সন্ত্রাসীরা। সে সময়ে বিএনপির তান্ডবে এলিনকে দীর্ঘদিন রাজধানীতে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে হয়েছে। ১/১১ এর পর ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার বাড়ীতে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে আলোচনা সভা ও বিক্ষোভ মিছিল হয়। তিনি নৌকার বিজয়ের জন্য দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিজয় নিশ্চিত করেন । ২০১১ সালে কামরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিমকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে সুনামের সাথে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন।বিভিন্ন কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখায় রাষ্ট্রীয় ভাবে তিনি স্বর্ণপদকও লাভ করেন। ২০১৩ সালে এলিন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে নির্বাচিত হলে ২০১৩ সালের ২৫ মার্চ উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্দেশে ৩ সহস্রাধিক মোটর সাইকেল শোডাউনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় যুবলীগ ও জেলা যুবলীগের নেতারাসহ স্থানীয় প্রায় ১০ সহস্রাধিক জনগনের উপস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রাঙ্গনে সংবর্ধনা প্রদান করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ২০১৫ সালে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পেয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে নৌকার বিজয় সু নিশ্চিত করেন। এ ছাড়াও করোনায় লকডাউন চলাকালীন নিম্ন আয়ের মানুষদের সহায়তার জন্য প্রশাসনের উম্মুক্ত ত্রাণ তহবিলে সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। সরিষাবাড়ী উপজেলার উল্লেখযোগ্য অবদানের মধ্যে রয়েছে বিনামূল্যে সরিষাবাড়ী মডেল মসজিদ নির্মানে জমি দান। এর পাশাপাশি আনিছুর রহমান এলিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হেলেঞ্চাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তার বাবা মার নামে হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা, বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা নিশ্চিত করার জন্য ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সহযোগিতা, এতিম ও অসহায় ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানো,মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিম খানায় আর্থিক সহযোগিতা, পবিত্র ইদ উল ফিতর ও ইদ উল আযহায় গরীবদের মাঝে শাড়ী, লুঙ্গি কাপড় বিতরণ সহ বিভিন্ন কাজে ভুমিকা রাখায় সকলের মনের মনি কোঠায় জায়গা করে নিয়েছে। এ ছাড়াও স্বাধীনতার পর ময়মনসিংহ বিভাগে এই প্রথম আনিছুর রহমান এলিন বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল এসোসিয়েশনের ডাইরেক্টর ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয় নেতা আলহাজ্ব মির্জা আজম ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট বাকী বিল্লাহ এবং সাধারন সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন , ২০০১ সাল হতে ২০০৬ সালের বিএনপির ইতিহাস আমরা আওয়ামীলীগ পরিবার ভুলে যায়নি। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ ছানোয়ার হোসেন বাদশা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর হারুন ভাইয়ের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামীলীগ আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠবে। উনাদের হাতেই উপজেলা আওয়ামীলীগ নিরাপদ। আগামীদিনের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্যে জাতীয় নির্বাচনে সরিষাবাড়ী হতে প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা যাকেই নৌকা উপহার দিবে, উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে তার পক্ষেই কাজ করে বিজয় নিশ্চিত করবো ইনশাআল্লাহ ।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।