সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতিতে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ আহমেদকে পেটালেন একই সংগঠনের গান্ধাইল ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক জিয়া তালুকদার।
গান্ধাইল ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক জিয়া তালুকদার |
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে কাজিপুর উপজেলা পরিষদ এলাকায় কুয়াশা হোটেলের সামনে এ মারপিটের ঘটনা ঘটে। আহত পারভেজ আহমেদকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত জিয়া তালুকদার গান্ধাইল ইউনিয়নের দুবলাই গ্রামের বাসিন্দা ও দুবলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী। পারভেজ আহমেদ বলেন, কুয়াশা হোটেলের সামনে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ বসেছিলেন। এ অবস্থায় জিয়া তালুকদার ও তার ভাতিজা রুবেল অতর্কিত এসে আমার উপর হামলা চালিয়ে চেয়ার দিয়ে উপুর্যপুরি পেটায়। কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কুমার দত্ত জানান, উপজেলা যুবলীগের নেতা পারভেজের উপর হামলা হয়েছে। তাকে মারপিট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে জিয়া তালুকদারকে সাময়িক অব্যাহতির পাশাপাশি কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহি:স্কার করা হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে উপজেলা যুবলীগ। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে অব্যাহতিসহ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। কাজিপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম জানান, কুয়াশা হোটেলের সামনে আজকে অতর্কিত একটি উশৃংখল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তবে এটা রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নয়। স্থানীয় বিরোধের জের ধরে এ ঘটনাটি ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, জিয়া তালুকদার সংগঠন বিরোধী কার্যক্রমের সাথে লিপ্ত থাকায় তাকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সংশোধন হননি। এ কারণে আগেই তাকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। আজতে তাকে সাময়িক অব্যাহতি ও কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে না, এ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে তাকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য জিয়া তালুকদারের বিরুদ্ধে মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে তার মাদক সেবনের ছবিটি বিভিন্ন ফেসবুক পেইজে ভাইরাল হয়েছে। এসব কারণে তাকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে দলীয় বেশ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। অপরদিকে বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী হিসেবে কর্মরত থাকলেও তিনি কখনো বিদ্যালয়ে যান না বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।