শফিকুল ইসলাম : মহামারী করোনা ও বন্যার কারনে দীর্ঘ ৩ বছর বন্ধ থাকার পর আবারো সীমান্ত হাট চালুর বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশ জেলা প্রশাসক পর্যায়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর উপজেলার বালিয়ামারী সীমান্ত হাটে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশের পক্ষে মো. রেজাউল করিম জেলা প্রশাসক কুড়িগ্রাম এর নেতৃত্বে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল এবং ভারতের পক্ষে শ্রী,জি খারমাওপ্লং (আইএএস) ডিপুটি কমিশনার আমপাতিসহ ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল অংশ গ্রহণ করেন।
এতে উভয় দেশের প্রতিনিধিগণ ঘন্টাব্যাপী এ মতবিনিময় সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর আগামী ৩০ নভেম্বর এ বডার হাট চালু করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
২০২০ সালের জানুয়ারী মাসে হাটটির কার্যক্রম সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছিল। এর ফলে দু দেশের সীমান্ত এবং আশপাশের এলাকার দরিদ্র মানুষের জীবন জীবিকা গড়ে তুলেছিলেন তা স্থবির হয়ে পড়েছে। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে এলাকার ব্যবসায়ীবৃন্দ। হাট চালুর খবরে নির্ধারিত ক্রেতা ও বিক্রেতারা আনন্দে ভেসে উঠে সকলের।
উল্লেখ্য যে, রাজীবপুর উপজেলার বালিয়ামারী ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের আমপাতি জেলার মহেন্দ্রগঞ্জ সীমান্তের ১৯৭২ নং মেইন পিলারের ১৯ নং সাব-পিলারের পাশে উভয় দেশের ৭৫ মিটার করে ৪বিঘা জমিতে ২০১১ সালে হাটটি আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু করা হয়।
তখন থেকে সপ্তাহে একদিন প্রতি বুধবার সকাল ১০ থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত হাট বসতো। বাংলাদেশের ২৫জন বিক্রেতা ও ৬১৪ জন ক্রেতা এবং ভারতের ৫০জন বিক্রেতা রয়েছেন। এদের সবাইকে হাটে আসা-যাওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
দুদেশের ৫কিলোমিটার সীমান্তবর্তী এলাকায় উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী এ হাটে তোলা হয়। তারমধ্যে ভারতের বিভিন্ন জাতীয় মসলা, সুপারী, কমলা, মরিচ, আনারন, আংগুর, ও কাচামাল।
অপর দিকে বাংলাদেশের প্রসাধনী ও প্লাষ্টিক জাতীয় দ্রব্যাদি, পাট ও কুটির শিল্পসহ ৬৯ প্রকার জিনিস বাজারে কিনা-বেচা হত।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।