রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের চররাজীবপুর উপজেলার দিয়ারারচর মুন্সিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জুলফিকার আলী ওরফে জলপাই স্যার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষকের বহিস্কারের দাবীতে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে এলাকাবাসি।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। ঘটনাটি ৮দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে শুক্রবার বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির এক সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে অভিযুক্ত শিক্ষককে তার পদ থেকে বহিস্কারের দাবীর সিদ্ধান্ত হয়। ঘটনা তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ পাঠানো হয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। এমনটি জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদিন। তিনি আরো জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক এর আগেও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার একাধিকবার ঘটনা ঘটিয়েছে।
শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এলাকাবাসি বিক্ষোভ মিছিল করে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলানোসহ অভিযুক্ত শিক্ষককে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছে। নির্যাতিত ছাত্রীর মা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত শিক্ষক বিভিন্ন জনের মাধ্যমে নানা ধরণের হুমকি দিচ্ছে। এ নিয়ে বেশি বারাবারি ও কোথায়ও অভিযোগ করা হলে নির্যাতিত ছাত্রীর জীবন শেষ করে দেয়া হবে বলে ঘোষনা দিয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক জুলফিকার আলী।
অভিযোগে আরো জানা গেছে, ঘটনার দিন নির্যাতিত ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের ফাঁকা একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। অভিযুক্ত শিক্ষক কয়েক মাস আগেও দুজন ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেছে বলেও জানা গেছে । পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষকের মতামত নেয়ার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি বলেন, এটা তেমন কোন ঘটনা না, বলেই ফোন কেটে দেন।
এ প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘ঘটনা সত্য। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অবহিত করা হয়েছে। তাছাড়া স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যরা সবাই অভিযুক্ত শিক্ষককে বহিস্কারের দাবি জানিয়ে রেজুলেশন করেছে যা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দেয়া হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমাকে জানানো হয়েছে। আমি বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। ৫দিনেও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হলো না-এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত চক্রবর্তির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাটি কেউ আমাকে জানায়নি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।