কাজিপুর(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়। তারাও এই সমাজেরই কারো ভাই, করো বোন করো বা নিকটাত্মীয়। তাদের জন্যে এই দেশে আগের সরকার কোন কিছু চিন্তাই করে নাই।
বর্তমান সরকার, গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রতিবন্ধীদের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে এনেছেন। তারা এখন ভাতা পাচ্ছেন। তাদের পড়ালেখার পথকে সুগম করতে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একাধিক প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমথ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়গুলোর গোপনীয় প্রতিবেদন নেয়া শুরু হয়েছে। এখন একটি কাজ বাকি সেটা হলো প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভূক্তিকরণ। তাহলে প্রায় দশ বছর যাবৎ পরিচালিত এই বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক কর্মচারীদের মানবেতর জীবনের অবসান হবে। কিন্তু নানা কারণে এই প্রক্রিয়া ঝুলে গেছে। একারণেই আমরা আবারো আন্দোলনে নেমেছি। আগামী ২৯ তারিখে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে হবে আমাদের মূল সভা। আশা করি সেখান থেকেই একটা ফায়সালা হবে বলে বিশ্বাস করি।
বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে আয়োজিত সিরাজগঞ্জ জেলার সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কতা বলেন সংগঠনটির সভাপতি ইলিয়াস রাজ। বর্তমান সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের প্রশংসা করে তিনি বলেন, দেশকে উন্নত বিশ্বের দরবারে পৌঁছাতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। এটি সত্যি। তেমনি সত্যি হলো দেশের একটা বিরাট অংশ প্রতিবন্ধীদেরকে উন্নয়নের মূল সোতধারায় না নিলে সেই লক্ষ্য পূরণ কঠিন হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ম্যাডামও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে পৃথিবীব্যাপী কাজ করছেন। সুতরাং আমরা আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অামাদের প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক কর্মচারীদের পবিরার পরিজনের কথা ভেবে দ্রুত এমপিওভূক্তির ঘোষণা দেবেন।
সংগঠনের সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি ওয়াজেদ মিয়া, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রিমা খাতুন, জাহাঙ্গীর আলম, রাবেয়া নাসরিন রুমি, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নাসিম, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সহকারী অ্যধাপক আবদুল জলিল।
অনুষ্ঠানে সমবেত শিক্ষক কর্মচারীগণ এসময় এমপিওভূক্তির কাজ না হওয়া অবধি এই আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।