সেবা ডেস্ক : দেশের উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে জামালপুরের বকশীগঞ্জে আসছে ২০২৩’এর জানুয়ারী থেকে চালু হতে যাচ্ছে “রহিমা ছালাম স্কুল এন্ড কলেজ”।
বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মালিবাগ মোড়ের সন্নিকটে অবস্থিত রহিমা সালাম স্কুল এন্ড কলেজে নির্মল ও যানজট মুক্ত পরিবেশ, নিজস্ব ক্যাম্পাস, সুপরিসর খেলার মাঠসহ বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে আসন্ন ২০২৩’র জানুয়ারীতে প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধন করা হবে।
প্রতিষ্ঠানটির গুণগত শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বকশীগঞ্জ কিয়ামত উল্লাহ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রভাষক পরবর্তী কালে জামালপুর সরকারী আশেক মামুদ কলেজের উপাধ্যক্ষ ও শ্রীবরদী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ হাসান বিন রফিককে।
প্রতিষ্ঠানটিতে প্রথম বর্ষে প্লে থেকে ৯ম শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে বলে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামোর নির্মান কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৈষম্যহীন সমন্বিত শিক্ষা, আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাক্রম, মানসম্মত ও পেশার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ শিক্ষক সমাজ, প্রয়োজনীয় সুযোগ দিয়ে মেধাবীদের শিক্ষকতায় এনে ধরে রাখা, সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন, দুর্নীতি নির্মূল ও অপচয়রোধ ছাড়াও এ প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে অত্র বকশীগঞ্জে শিক্ষার মান উন্নয়নে অধিক বিনিয়োগ করা হবে।
এছাড়া গুণগত শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণ, ব্যবস্থাপনা, তত্ত্বাবধান, নেতৃত্ব, শিক্ষাক্রম, শিক্ষণসামগ্রী, মূল্য যাচাই, শিক্ষা নীতি ও পরিকল্পনা কঠোর ভাবে মানা হবে।
আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম, পর্যাপ্তসংখ্যক যোগ্য ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক, প্রয়োজনীয় শিক্ষাদানসামগ্রী ও ভৌত অবকাঠামো, যথার্থ শিক্ষণ-শিখন পদ্ধতি, উপযুক্ত মূল্যায়ন পদ্ধতি, ধারাবাহিক পরিবীক্ষণ ইত্যাদিও থাকবে প্রতিষ্ঠানটিতে।
প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে অভিভাবক ও শিক্ষকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যকার সঠিক সহযোগিতার ক্ষেত্র বিস্তৃত করা হবে। মূল্যায়ন ও পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার সাধন করে শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্বের সব দিক অর্থাৎ স্বাস্থ্য, আচার-আচরণ, প্রকাশভঙ্গি, মূল্যাবোধ, সৃজনশীলতা ইত্যাদি বিবেচিত হয় এবং তথ্য সংগ্রহকরণ কৌশল ও বিশেষায়িত ফলাফলের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
সিলেবাসকে অযথা ভারাক্রান্ত না করে তা শিক্ষার্থীর চাহিদা, বয়স, মেধা ও গ্রহণযোগ্যতা অনুযায়ী করা হবে। দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা, দীর্ঘদিনের লালিত ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ধর্মীয় চেতনা, বিশ্বাস এবং নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটিয়ে শিক্ষার্থীর জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন যাতে হয়, সেসব দিক বিবেচনায় রেখে পাঠ্যসূচি তৈরি করা হবে। দুর্বল বা কম মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা কিংবা স্কুলে আলাদা কোচিংয়ের মাধ্যমে তাদের দুর্বলতা কাটিয়ে তোলার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে কারিগরী ও শরীরচার্চার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে আধুনিক ও যুগপোযুগি শিক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আগামী বছরেই তাদের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করবে রহিমা ছালাম স্কুল এন্ড কলেজ।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।