কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে পল্লীবিদ্যুতের বকেয়া বিল চাওয়া ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় লাইন টেকনিশিয়ানকে গাছের সাথে বেঁধে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে। এ ঘটনায় পল্লীবিদ্যুতের উপ-ব্যবস্থাপক বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের হরিনাথপুর উত্তরপাড়ায়।
শনিবার বিকেলে থানায় দেয়া অভিযোগ ও সরেজমিন সূত্রে জানা গেছে, হরিনাথপুর উত্তর পাড়ার পাগাইলার ছেলে মকবুল হোসেনের নামে একটি বৈদ্যুতিক মিটার বিল গত তিন মাস ধরে বকেয়া ছিল। পল্লীবিদ্যুতের নিয়মানুযায়ী গত শুক্রবার বিকেলে ওই লাইন বিচ্ছিন্ন করতে যান লাইন টেকনিশিয়ান আক্তার হোসেন ও মিটার রিডার বেলাল হোসেন। লাইন বিচ্ছিন্ন করতে গেলেই মকবুল হোসেন ও তাঁর লোকজন বাঁধা দেন। বিদ্যুৎ কর্মীদের নানা প্রকার গালমন্দ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে আক্তার হোসেনকে পিটানী দেন মকবুল হোসেন। পরে মকবুলের স্বজনরা স্থানীয় মিদানীর পুত্র হেলাল উদ্দিন ও মজিবারের পুত্র শাজা এসে লাইন টেকনিশিয়ান আক্তারকে কাঁঠাল গাছের সাথে বেঁধে সবাই মিলে পিটানী দেন। পরে খবর পেয়ে কাজিপুর থানা পুলিশ বিদ্যুৎ কর্মীদের উদ্ধার করেন।
মকবুল হোসেনের স্ত্রী লিলি খাতুন বলেন, কারেনের লোক আইসা বিলের ট্যাহার জন্যে আমাদের গালিগালাজ করে। পরে কলম দিয়া ঘাও মারে আমার বেটাক। আমাক সড়কে ধেক্কা দিয়া ফাইলা দেয়।তারপর আমার স্বামী কারেনের লোকেক পেটন মারে। গাছের সাথে বেঁধে পিটানোর কথা অস্বীকার করলেও তাঁর মেয়ে মলি খাতুন বলেন, আমরা কাঁটোল গাছের সাথে বাঁইধা রাখছিলাম। পরে ছাইড়া দিছি।
কাজিপুর পল্লীবিদ্যুতের উপ-ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল আমিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে জানান, নিয়মানুযায়ী সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে আমার লোকদের বেঁধে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় কাজিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কুমার দত্ত জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।