কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মাইজবাড়ী ইউনিয়নের ঢেকুরিয়া হাটের পূর্বপাশের ইকোপার্ক এলাকার যমুনা নদীতীর সংরক্ষণ এলাকায় দ্বিতীয়বারের মতো ধস দেখা দিয়েছে। গত বুধবার দুপুর থেকে এই ভাঙন শুরু হয়েছে।
এরইমধ্যে ইকোপার্কের দক্ষিন পাশের একশ মিটার এলাকার সিসিব্লক নদীগর্ভে চলে গেছে।এর আগে গত মে মাসেও এই স্থানেেউত্তর পাশ্বের ৮০ মিটার এলাকার সিসিব্লক ধসে গেছে। ধস দেখা দেয়ায় আশপাশের এলাকার মানুষের মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এদিকে ধস ঠেকাতে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগণ ভাঙন এলাকা ঘুরে গেছেন।কিন্তু এই রিপোর্ট লেখা অবধি তারা ভাঙন ঠেকাতে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন সিরাজগঞ্জ-১ এর জাতীয় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়।
পাউবো এবং স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, কাজিপুরে যমুনার পানি দুই সপ্তাহ যাবৎ কমছে। এতে করে যমুনার ডানতীর রক্ষা বাধের দিকে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। তীব্র ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হবার ফলে তীর সংলগ্ন সিসিব্লকের নিচ থেকে মাটি সরে গেলে ধস দেখা দেয়। এদিকে দুইদিন যাবৎ ধস শুরু হলেও বৃহস্পতিবার বিকেল অবধি তা ঠেকানোর জন্যে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় এমপি তানভীর শাকিল জয়। তিনি ভাঙন এলাকায় ঘুরে দেখেছেন। এসময় মুঠোফোনে সিরাজগঞ্জ পাউবোকে দ্রুত রক্ষার কাজ শুরুর নির্দেশ দেন।
পাউবো’র এসও হায়দার আলী জানান, ‘শুষ্ক মৌসুমে নদীতীর সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকার নিকট থেকে বালি উত্তোলন করে সিসি ব্লকের উপর দিয়ে ট্রাকে বহন করে নিয়েছে স্থানীয়রা। এতে করে নদীর মূল স্রোত এখন ডানতীরে এসে সরাসরি আঘাত করায় ধস শুরু হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, ভাঙন এলাকা ঘৃরে দেখেছি। বালিবর্তি জিওব্যাগ ফেলানোর কাজ শুরু হচ্ছে। আশা করি ভাঙন রোধ হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।