মাসুদুর রহমান : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী (১২) কে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ১১ জুন শনিবার দিনগত রাত ১২ঃ৩০ মিনিটে উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চুনিয়াপটল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মেয়ের সতীত্ব বাচাতে গিয়ে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মা।
জানা যায়, সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চুনিয়াপটল গ্রামের আছমত আলীর মেয়ে (১২) ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে আরএনসি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে আসছে। বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার সময় বিভিন্ন সময়ে বিরক্ত করত একই গ্রামের রবিউল এর ছেলে রিপন (২০)। আছমত আলী বাড়ীতে না থাকায় তার বাড়ীতে ১১ জুন শনিবার দিনগত রাত ১২ঃ৩০ মিনিটে রিপন গিয়ে দরজায় টুকাটুকি করে। পরে আছমত আলীর মেয়ে দরজা খুললে রিপন তার মুখ চেপে ধরে বাড়ীর আঙ্গিনায় নিয়ে এসে বেড়া ভেঙ্গে সীমানার পার্শে রেখে মুখ চেপে ধরে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এদিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘুম থেকে উঠে তার মা শান্তি বেগম বাহিরে আসে। এসেই বাড়ীর সীমানায় তার মেয়েকে দেখতে পায় তার মেয়েকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালাতে দেখতে পায়। পরে তিনি গিয়ে রিপনের গেঞ্জি টেনে ধরে ঝাপড়ে ধরে।রিপন তার মাকে শরীরের বিভিন্ন মারধুর করে তার গেঞ্জিটা না ছাড়লে তিনি গেঞ্জিটা খুলেই ও পন্স রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। এদিকে জায়গাটা চরাঞ্চল হওয়ায় শান্তি বেগম ভোর রাত ৩ঃ৪৫ মিনিটে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেয়।
ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে শনিবার একটি মহল ধর্ষনের চেষ্টাকারী রিপনকে বাঁচাতে মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বিষয়টি সাংবাদিকরা অবগত হলে ঘটনাস্থলে গেলে আবারো ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে সাংবাদিকদের কাছে স্থানীয় এলাকাবাসী এ অভিযোগ করে। এদিকে রবিবার সকাল ৮ টায় বিষয়টি নিয়ে আবারো মিমাংসার জন্য বসবে বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
শিক্ষার্থী জানান, আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে ধর্ষনের চেষ্টা করেছে। আমাকে মুখ চেপে ধরে বেড়ার পাশে ফেলে দেয়। আমি অজ্ঞান হয়ে গিয়ে ছিলাম। পরে কি হয়েছে জানিনা। আমি এ ঘটনার চাই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, আসলে বর্তমান সময়ে এগুলো আলোচিত। এই ঘটনা গুলো হয়তো ধামাচাপা দিয়ে কিছু মানুষ কিছু অর্থের দিকে লাভমান হবে। এই বিষয় গুলোর বিচার না হলে দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। তাই বিষয়টি নিয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসি সাহেব এবং জামালপুর সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মা শান্তি বেগম বলেন, আমার মেয়ের সাথে যা হয়েছে এটার আমি সঠিক বিচার চাই। মাতাব্বররা এটা মিমাংসা করতে চায়। আমি আইনের সঠিক বিচার চাই।
কথা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইউপি সদস্য চান মিয়া জানান, রবিবার সকাল ৮ পর্যন্ত মিমাংসার সময় নিয়েছে ছেলে পক্ষের সাত জন। ঘটনার সত্য স্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর রকিবুল হক বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।