শফিকুল ইসলাম : কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদসহ বিভিন্ন নদীর চরে চিনার বাম্পার ফলন হয়েছে। এই চিনা চাষ করে চরাঞ্চলের বসবাসরত অনেক কৃষক স্বাবলম্বি হচ্ছে। সময় মত বৃষ্টির পানি পাওয়া ও মাটি ভিজে থাকায় এসব বালুর চরে চিনা চাষ করতে সহজ হয়েছে কৃষকের।
এই চরাঞ্চলে বিভিন্ন জাতের ফসল উৎপাদন হলেও চিনা চাষে খরচ একেবারেই কম। ফলে কৃষকেরা চিনা চাষে ঝুকেিছ প্রতি বছর।
শনিবার সরেজমিন চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা গেছে বালুর চর জুড়ে শুধু চিনা আর চিনা। যা দেখলে মুন ভরে যায়।
চরাঞ্চলের কৃষকরা জানায় এসব নদীর চরের জমিতে চিনা ও বাদাম ছাড়া অন্য কোন ফসল চাষ করা যায় না। ফলে তারা অন্যান্য ফসল চাষ না করে চিনা চাষে আগ্রহ বাড়ছে তাদের। বিঘা প্রতি চিনা উৎপাদন হয় ২০ থেকে ২৫ মন। এতে ৬২ শতাংসে এক বিঘা জমিতে চিনা চাষ করলে খরচ হয় মাত্র ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। এক বিঘা জমির চিনা বিক্রি হয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। চিনা চাউলের ভাত অনেক সুস্বাদু। আজ থেকে কয়েক বছর আগে চরাঞ্চলের মানুষের প্রধান খাবার ছিল চিনা চাউলের ভাত। পন্তা ভাত ছিল সবচেয়ে সুস্বাদু। কালের পরিবর্তনে চিনা উৎপাদন দিনে দিনে হারিয়ে যেতে থাকে।
এবিষয়ে রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্ত আব্দুল কাইয়ুম জানান, বিগত বছর গুলোতে চিনা উৎপাদন তেমন হত না। কারন কৃষকরা অন্যান্য ফসল ফলাতো। কিন্তু ইদানিং অন্য ফসল উৎপাদন করতে গিয়ে তাদের অনেক খরচ বেশি পড়ে।
যার ফলে কৃষকরা চিনা চাষে বেশি ঝুকছে। এতে তাদের অনেক খরচ কম হয় এবং লাভ বেশি হয়। এবার রৌমারী উপজেলায় প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে চিনা চাষ করা হয়েছে। ফলনও অনেক ভালো হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।