লিয়াকত হোসাইন লায়ন : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি বলেছেন, মিথ্যাকে বলা হয় সকল পাপের জননী। মিথ্যা কতটা ধ্বংসাত্মক ও ভয়ঙ্কর হতে পারে তা বিবেকমান মানুষ মাত্রই জানেন। যে মিথ্যা সব কল্যাণ ধ্বংস করে সে মিথ্যা পরিত্যাগ করে মিথ্যামুক্ত সমাজ গঠন করতে সকলকে সোচ্চার হতে হবে ।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আজ ৯ এপ্রিল,শনিবার ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে অর্পণ দর্পন স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত "সুপরিকল্পিত উপায়ে বাংলাদেশে একটি মিথ্যামুক্ত সমাজ গঠন সম্ভব" শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে দেশের স্বাধীনতার জন্য ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছে, ভাষার অধিকার রক্ষায় বিশ্বে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, যুদ্ধের ধবংসস্তূপ হতে ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে, সে দেশে মিথ্যামুক্ত সমাজ গড়া অবশ্যই সম্ভব।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, মিথ্যা পরিহারের সংস্কৃতি পরিবার থেকে শুরু করতে হবে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় সহ সমাজ ও জাতি গঠনে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহকে মিথ্যামুক্ত সমাজ বিনির্মাণে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও নেতৃবৃন্দকে আরো গভীরভাবে ভাবতে হবে ধর্মীয় শিক্ষা কেন মিথ্যা পরিহারে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছেনা।
তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহ মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগ সহজ করেছে। কিন্তু একই সঙ্গে তথ্যের অবাধ প্রবাহ মানুষকে বিভ্রান্তও করছে। মানুষ স্বার্থ হাসিলের জন্য সমাজে ভুল ও মিথ্যা কিংবা আংশিক মিথ্যা ছড়িয়ে দিচ্ছে। সমাজে ভয়ভীতি ও আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে এই গুজব ও মিথ্যার সয়লাব প্রায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে দিন দিন। গুজবের এই ভয়াবহতা থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে প্রয়োজন কঠোর আইন, নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক সচেতনতা।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডঃ কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব মোঃ আব্দুল করিম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন মহাপরিচালক ডঃ মোঃ মুশফিকুর রহমান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও সেমিনারে প্রবন্ধ ধর্মের প্র্যাকটিক্যাল গ্রন্থের লেখক এবং প্রধান নির্বাহী রাশেদুল ইসলাম,শিক্ষা ব্যবস্থাপক কবি ও গবেষক ড. সাইফ ফাতেউর রহমান, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ কাওসার মুস্তাফা আবুল উলায়ী, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক শারমিনা পারভীন, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আহসানুল হাদীসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।