শফিকুল ইসলাম : কুড়িগ্রামের রৌমারীতে খরচ কম হওয়ায় গম চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। এবার গমের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি রবি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে।
শুরু হয়েছে গম কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। ফাল্গুন ও চৈত্র মাসের শেষে প্রথম দিকে গম কাটা ও মাড়াই শুরু হলেও এরই মধ্যে অনেক জায়গায় গম কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। এবার বাজারে ভালো দাম পেলে লাভবান হবার স্বপ্ন দেখছে চাষীরা। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবছর উপজেলায় ১২’শ ৫০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। গত বছর গম চাষ হয়েছিল ৯’শ ৯১ হেক্টর। গম চাষে খরচ কম হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার ২৫৯ হেক্টর জমিতে গম চাষ বেশি হয়েছে। এবার বারি ৩০/৩১/৩৩/২৫ ও ২৬ জাতের গম চাষ হয়েছে। উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের ফলুয়ারচর, পালের চর, কুটিরচর, অষ্টমিরচর, মানুষ মারারচর, বাগুয়ার চর, বলদমারা, পশ্চিম পাখিউড়া, ঘুঘুমারী, মিয়ারচর, ফুলকার চর, ই্জলামারী, বারবান্দা, চর ফুলবাড়ি গ্রামের মাঠগুলোতে বোরো ধানের পাশাপাশি গমের ব্যাপক চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে আর সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ ও বাড়তি পরিচর্ষার কারনে এবছর গমের ফলন ভালো হয়েছে।
উপজেলার ফলুয়ার চর গ্রামের কৃষক আজাহার আলী বলেন, গম চাষে বোরধানের তুলনায় খরচ কম হওয়ায় ১ বিঘা গম চাষ করেছি। কৃষি অফিস থেকে বাড়ি-৩৩ জাতের ২০ কেজি বীজ, ইউরিয়া সার ২০ কেজি ও পটাস ১০, টিএসপি ২০ কেজি ও জৈব সার ৫ কেজি পেয়েছি। আর কয়েক দিন পর কাটতে হবে। ফলন অনেক ভালো হওয়ায় বিঘায় ২০-২৫ মন গমের আশা করছি। আর এবার বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতিমন এক হাজার ৪২০ টাকা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিবিঘা জমিতে ২২ থেকে ২৫ মন গমের ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। গমের আবাদে বোরর তুলনায় খরচ কম হওয়ায় চাষীরা আগ্রহী হয়ে উঠছে। বাজার দর ভালো থাকলে এবার লাভবান হবেন গম চাষীরা।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।