সেবা ডেস্ক: একটি জাতীয় পরিচয়পত্রে’র (এনআইডি) অনুকূলে গ্রাহককে ৫টি’র বেশি সিম না দেওয়া’র সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
মঙ্গলবা’র
সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স’রকারি
প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি’র বৈঠকে এ সুপারিশ করা
হয়।
বৈঠক
শেষে সংসদীয় কমিটি’র সভাপতি আ স ম
ফিরোজ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিটিআ’রসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) থেকে জানানো হয়েছে, তারা একটি এনআইডি’র অনুকূলে বর্তমানে ১৫টি সিম নিবন্ধনে’র সুযোগ দিচ্ছে।
বেশি বেশি সিম
নিয়ে তা অপব্যহারে’র সুযোগ
‘রয়েছে। এ জন্য আমরা
এ সংখ্যা কমিয়ে ৫টি দেওয়া’র নির্দেশনা
দিয়েছি।
‘অবশ্য
নিয়মিত ক’র প্রদানকারী ও
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদে’র ক্ষেত্রে হয়তো এ সংখ্যা
আরো বাড়ানো যেতে পারে বলে
মত দিয়েছি।’
বিটিআ’রসি
তাদে’র সঙ্গে একমত হয়েছে উল্লেখ
করে কমিটি’র সভাপতি বলেন, তারা শিগগি’রই এ
বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাবে বলে আমাদে’র অবহিত
করেছে।
একটি জাতীয় পরিচয়পত্রে’র অনুকূলে কতগুলো সিম সংগ্রহ করা যাবে এ বিষয়ে আগে কোনো বিধিনিষেধ ছিল না।
এ কা’রণে একটি এনআইডি’র অনুকূলে অসংখ্যা সিম গ্রহণে’র ঘটনা এক সময় ঘটেছে। এসব সিমে’র অনেকগুলো নানা ধ’রনে’র সন্ত্রাসী ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজেও ব্যবহারে’র অভিযোগ পাওয়া যায় বিভিন্ন সময়।
যা’র কা’রণে ২০১৬ সালে’র ১২ জুন স’রকারে’র নির্দেশনায় গ্রাহক প্রতি ২০টি সংযোগ নির্ধা’রণ করে। পরে ওই বছরে’র ৪ আগস্ট এই সংখ্যা কমিয়ে ৫টি নির্ধা’রণ করে স’রকা’র।
এ’রপ’র
২০১৭ সালে’র ডিসেম্বরে তা বাড়িয়ে ১৫টি
নির্ধা’রণ করে। বর্তমানে এ
নিয়ম বহাল ‘রয়েছে।
এদিকে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াও পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জন্ম নিবন্ধন সনদে’র অনুকূলে সাময়িকভাবে সর্বোচ্চ দুটি করে সিম সংগ্রহে’র সুযোগ ‘রয়েছে।
সাময়িকভাবে প্রাপ্ত এসব সিম একটি
নির্দিষ্ট সময়ে’র মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে নিবন্ধন করা’র
বাধ্যবাধকতা ‘রয়েছে। না হলে সেগুলো
অকার্যক’র হওয়া’র বিধান ‘রয়েছে।
ফিরোজ জানান, তারা অবৈধ ভিওআইপি বন্ধে কঠো’র ব্যবস্থা’র কথা বলেছে। এ ক্ষেত্রে কেবল জরিমানা’র মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে দ’রকা’র হলে লাইসেন্স বাতিল ক’রতে বলেছে।
এছাড়া তারা মোবাইল অপারেটরে’র
কাছ থেকে বকেয়া আদায়সহ
গ্রাহকদে’র স্বার্থ ‘রক্ষায় কার্যক’র পদক্ষেপ নিতে বলেছে।
সংসদ সচিবালয়ে’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে সার্বিক স্বচ্ছতা ও পাওনা আদায়ে’র স্বার্থে নির্দিষ্ট সময়ে’র মধ্যে অডিট আপত্তিগুলো ত্রিপক্ষীয় সভা’র মাধ্যমে নিষ্পত্তি’র ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়।
মন্ত্রণালয়
ও বিটিআ’রসি’র অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তিগুলো দ্রুততম
সময়ে নিষ্পত্তি’র নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আ স ম ফিরোজে’র সভাপতিত্বে কমিটি’র সদস্য মোস্তাফিজু’র ‘রহমান, মো. মাহবুব উল আলম হানিফ এবং মুহিবু’র ‘রহমান মানিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।