শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রাম জেলায় শ্রেষ্ট অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হয়েছেন বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন।
রবিবার চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ শ্রেষ্ট অফিসার ইনর্চাজ এর সন্মাননা স্মারকটি ওসি মো. কামাল উদ্দিনের হাতে তুলে দেন চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) মো. জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মো. হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন আফরুজুল হক টুটুল সহ চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন থানার ওসি ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর বাঁশখালী থানায় যোগদান করেন।
যোগদানের প্রথমদিন থেকেই তিনি বিরতীহীনভাবে বিচক্ষণতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। যোগদানের মাত্র এক মাসের ব্যবধানে তিনি চট্টগ্রাম জেলার শ্রেষ্ট অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হয়েছেন।
কর্মযজ্ঞের এক মাসের মধ্যেই তিনি মাদক, ইয়াবা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গ্রেফতার করেন। যার মধ্যে
নভেম্বর মাসে ১৫ মামলার আসামি পুঁইছড়ির পুইন্যা ডাকাতকে দুটি অস্ত্রসহ আটক ছাড়াও ১৫ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ৪৯ হাজার ৮৮০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার, ৬১ জন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি এবং ৭১ জন নিয়মিত মামলার আসামি গ্রেফতার করেন।
এছাড়া নিয়মিত স্থানীয় ভাবে নানা ধরনের সামাজিক সমস্যা সমাধান, গন্ডামারায় অবস্থিত দেশের ১৩২০ মেগাওয়ার্ট এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার সহ অপরাধ প্রবাণতা রোধে কাজ করে যাওয়াতে চট্টগ্রাম জেলায় শ্রেষ্ট অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হন বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে জেলায় শ্রেষ্ট অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হওয়া ওসি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, অপরাধ রোধ করা আমাদের কাজ।
সাধারণ জনগন যাতে শান্তিতে থাকতে পারে এবং অপরাধীরা যাতে কোন অপরাধ করতে না পারে সে জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান।
চট্টগ্রাম জেলায় বাঁশখালী একটি গুরুপ্তপুর্ণ উপজেলা। এখানে সাগর, পাহাড় ও সমতল হওয়ায় এবং কক্সবাজারের সাথে সংযুক্ত হওয়ায় দক্ষিনের অপরাধীরা এখানে অবস্থান নিতে চেষ্টা করে তাই আমাদের সব সময় সর্তক থেকে কাজ চালিয়ে যেতে হয় বলে জানান।
তিনি আরো বলেন, বাঁশখালীতে যোগদানের পর থেকে আমার মিশন ও ভিশন ছিল মাদকমুক্ত, ইয়াবার ছোবল মুক্ত বাঁশখালী জনপদ গড়ে তোলা।
এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল-মাদরাসা, মসজিদ-মন্দিরে গণসচেতনতামূলক নানা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেছি এবং অব্যাহত রেখেছি। এ বিষয়ে আমি সকলের সহযোগীতা পেয়েছি।
আগামীতেও অপরাধ দমণে, মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের সকলের সহাবস্থান ও সহযোগীতা কামনা করছি। আমাকে জেলায় শ্রেষ্ট অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত করায় আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য আরো বেড়ে গেল।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।