নতুন যুগে বাংলাদেশ: অবকাঠামোয় বিপ্লব

S M Ashraful Azom
0
নতুন যুগে বাংলাদেশ অবকাঠামোয় বিপ্লব



সেবা ডেস্ক: ভঙ্গু’র অর্থনৈতিক দশা নিয়ে একাত্তরে যাত্রা শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশ। যুদ্ধবিধ্বস্ত জনপদে বৈষম্যহীন, ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গড়া’র স্বপ্ন নিয়ে দেশ পরিচালনা’র দায়িত্ব নেন স্বাধীন বাংলাদেশে’র স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু’র ‘রহমান। 

কিন্তু নবগঠিত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নে’র ওপ’র দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন, তা স্বাধীনতাবিরোধী একাত্তরে’র পরাজিত শক্তি’র কা’রণে বঙ্গবন্ধু সমাপ্ত করে যেতে পারেননি। আজ বিশ্বে উন্নয়নে’র রোল মডেল বঙ্গবন্ধু’র বাংলাদেশ। মূলত আশি’র দশকে দেশে’র যোগাযোগ খাতে বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণে’র ধারা শুরু হয়। ৯০ দশকে গ্রামাঞ্চলে অবকাঠামো উন্নয়নে গতি পায়। গত এক যুগে মেগা প্রকল্পে’র পাশাপাশি ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছে বাংলাদেশে। অর্থনীতিতে গতি আনতে দেশে’র যোগাযোগ পরিবহন খাতে’র উন্নয়নে স’রকারে’র নেয়া বড় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে’র কাজ শেষ হতে যাচ্ছে আগামী বছ’র। আলোচিত পদ্মা সেতু আগামী জুনে’র মধ্যে চালু হবে। এ’র ফলে দেশে’র আটটি বিভাগই সরাসরি সড়ক যোগাযোগে’র আওতায় চলে আসবে। ঢাকাবাসী ইতোমধ্যে দেশে’র প্রথম মেট্রোরেলে’র পরীক্ষামূলক চলাচল দেখেছে। আগামী বছরে’র শেষে’র দিকে এই ট্রেন যাত্রী নিয়ে চলাচল ক’রবে। কর্ণফুলী নদী’র তলদেশে নির্মাণাধীন দেশে’র প্রথম পাতালপথও (টানেল) চালু’র কথা আগামী বছরে’র শেষে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে’র আলোচিত এসব অবকাঠামো চালু হলে যোগাযোগ পরিবহন খাত নতুন যুগে প্রবেশ ক’রবে বাংলাদেশ।

তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানে’র ধারাবাহিক অর্থনৈতিক বঞ্চনা, শোষণ আ’র নিপীড়ন থেকে মুক্ত হয়ে শূন্য থেকে শুরু করা বাংলাদেশে’র বয়স এখন ৫০। পাঁচ দশকে পাকিস্তান তো বটেই সেই সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলো’র তুলনায়ও বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই এগিয়েছে। সমৃদ্ধ হয়েছে অবকাঠামো আ’র অর্থনীতি’র গল্পে। আশি’র দশকে দেশে’র যোগাযোগ খাতে বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণে’র ধারা শুরু হয়েছিল। এ’রপ’র পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নে’র বিকাশ ঘটে ৯০ দশকে’র দিকে। সেই সময়ে গ্রাম-গঞ্জ, পাড়া-মহল্লায় যোগাযোগ ব্যবস্থা’র বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে। গত এক যুগে এই খাতে বিনিয়োগ আ’রও বেড়েছে। এ’রই ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতা’র ৫০ বছরে এসে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলে’র মতোআইকনিকবা নতুন যুগে প্রবেশে’র স্মা’রক অবকাঠামোগুলো চালু হওয়া’র দ্বা’রপ্রান্তে। স’রকা’র ১০টি বড় প্রকল্পকে অগ্রাধিকারে’র তালিকায় (ফাস্ট ট্র্যাক) রেখেছে। সেভাবেই এগিয়ে চলছে কাজ।

বাংলাদেশ ব্যাংকে’র সাবেক গবর্ন’র অর্থনীতিবিদ . সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সার্বিকভাবে বাংলাদেশে’র ভৌত অবকাঠামোতে সন্তোষজনক উন্নয়ন হয়েছে। কেবল এখন নয়, তিন-চা’র দশক থেকেই গ্রামীণ অবকাঠামো বা রাস্তাঘাটে’র যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে, বিশেষ করে স্থানীয় স’রকা’র প্রকৌশল অধিদফত’র (এলজিইডি) হওয়া’র প’র। বেশি’রভাগ গ্রামেই রাস্তা আছে। অনেক জায়গায় মহাসড়ক আছে। দ্বিতীয়ত, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা অঞ্চলে বড় বড় অবকাঠামোসহ বেশ ভাল উন্নতি হয়েছে। বড় বড় রাস্তা এখন মোটামুটি ভাল।রেলে’র ক্ষেত্রে এখনও সন্তোষজনক উন্নতি হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বহু টাকা ব্যয় হচ্ছে কিন্তু আশানুরূপ হয়নি রেলওয়েটা। আমাদে’র নৌপথ সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং সবচেয়ে বেশি নৌপথ ছিল। বহু আগে নৌপথই ছিল সবচেয়ে সস্তা, গুরুত্বপূর্ণ, আনাচে-কানাচে যাওয়া যেত। এখন সমস্যা হলো নদী’র নাব্য, বহু খাল ভরাট করে ফেলেছে। এদিকে আমা’র মনে হয়, নজ’র একটু কমই। এটা’র গুরুত্বও অনেক বেশি। ব্যবসা-বাণিজ্য সবদিকেই।

বিষয়ে বিশ্বব্যাংকে’র সাবেক লিড ইকোনমিস্ট . জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মেগা প্রকল্পগুলো’র মধ্যে জাতীয় উন্নয়নে বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো’র মধ্যে প্রথম সারিতে আছে পদ্মা সেতু। এটি’র কাজ শেষ হলে এবং যানবাহন চলাচল শুরু হলে ইস্টার্ন বাংলাদেশ আ’র ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশে’র অর্থনীতি সম্পৃক্ত হবে। এটা’র সরাসরি উপকা’র আছে। প্রতিদিনই ফেরি পারাপা’র হওয়া’র জন্য মানুষে’র ভোগান্তি হয়। এছাড়া দূ’রত্ব কমে যাবে। অনেক হিসাবে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতু হলে ঢাকা’র সঙ্গে উত্ত’র-পশ্চিমাঞ্চলে’র দূ’রত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটা’র কমে যাওয়া’র সমান সময় বাঁচবে। এটা তো একটা বিরাট ব্যাপা’র।তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়ত হলো- ঢাকা’র মেট্রোরেল চালু হলে ঢাকাবাসী’র গণপরিবহনে’র বিরাট সমস্যা’র সমাধান হবে। বলা হচ্ছে যে, প্রতি ঘণ্টায় অনেক যাত্রী যাতায়াত ক’রতে পা’রবেন। বিষয়টি যদিও ব্যবস্থাপনা’র ওপ’র নির্ভ’র ক’রবে, তবুও যানজট এখন যা আছে তা’র চেয়ে কমবে, যদি আমরা সময়মতো চালু ক’রতে পারি। একটা (এমআ’রটি লাইন- বা উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত) যদি চালু হয়, তাহলে কিন্তু এটা উল্লেখযোগ্য। পুরোটা হলে তো কথাই নেই। তাহলে তো ঢাকা’র রাস্তা’র পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণে’র মতো হয়ে যাবে। ঢাকা’র মতো নগরীতে মোট জমি’র অন্তত ২৫ শতাংশ সড়ক থাকা’র কথা, সেখানে আছে পাঁচ শতাংশে’র মতো। ঢাকা’র মতো শহরে যদি গণপরিবহনে’র ব্যবস্থা হয়ে যায় এবং ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখা যায়, তাহলে কিন্তু ঢাকা’র বোঝা কমবে।

পদ্মা সেতু ঘিরে তিনটি বিশ্ব রেকর্ড পদ্মা সেতু প্রকল্পে’র কাজ শেষ করা’র নির্ধারিত সময় আগামী বছরে’র জুনে। সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলে’র জন্য এখন পিচঢালাই চলছে। এ’রপ’র আলোকসজ্জা’র কাজ ক’রতে হবে। এ’র বাইরে গ্যাস পাইপলাইন বসানো’র কাজ চলমান। গত ৩০ নবেম্ব’র পর্যন্ত প্রকল্পে’র সার্বিক কাজে’র অগ্রগতি ৮৯ শতাংশ। এ’র মধ্যে মূল সেতু’র কাজ শেষ হয়েছে ৯৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। পদ্মা সেতু নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হয় ২০০৫ সালে। প্রকল্প নেয়া হয় ২০০৭ সালে। ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজা’র ১৬২ কোটি টাকা। কিন্তু নানা জটিলতায় সাত বছ’র প’র মূল সেতু’র কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে। চা’র বছরে’র সময়সীমা ধরা ছিল। কিন্তু সময়মতো বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজা’র ১৯৩ কোটি টাকা। সময়মতো কাজ না হওয়া’র পেছনে পদ্মা নদী’র অননুমেয় রূপ, বন্যায় ভাঙ্গন, করোনা পরিস্থিতিকে দায়ী করা হয়। গত বছরে’র ডিসেম্বরে সেতু’র সর্বশেষ স্টিলে’র কাঠামো বা স্প্যান বসানো’র প’র মূলত কারিগরিভাবে জটিল কাজ শেষ হয়। যুক্ত হয় মুন্সীগঞ্জে’র মাওয়া এবং শরীয়তপুরে’র জাজিরা প্রান্ত। প্রকল্পে’র কাজে’র জটিল প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলতে গিয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, এই সেতু ঘিরে তিনটি বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে। পদ্মা সেতু’র খুঁটি’র নিচে সর্বোচ্চ ১২২ মিটা’র গভীরে স্টিলে’র পাইল বসানো হয়েছে। এসব পাইল তিন মিটা’র ব্যাসার্ধে’র। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত কোন সেতু’র জন্য এত গভীরে পাইলিং প্রয়োজন হয়নি এবং মোটা পাইল বসানো হয়নি। ভূমিকম্প থেকে ‘রক্ষা পেতে এই সেতুতেফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিংয়ে’রসক্ষমতা হচ্ছে ১০ হাজা’র টন। এখন পর্যন্ত কোন সেতুতে এমন সক্ষমতা’র বিয়ারিং লাগানো হয়নি। রিখটা’র স্কেলে মাত্রা’র ভূমিকম্পে টিকে থাকা’র মতো করে পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে।

সমীক্ষায় এসেছে, এই সেতু দেশে’র দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে’র ১৯ জেলাকে ঢাকাসহ সারাদেশে’র সঙ্গে যুক্ত ক’রবে। সেতুটি চালু হলে দেশে’র জিডিপি’র হা’র বাড়াবে দশমিক ২৩ শতাংশ। দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে’র জিডিপি বাড়াবে দশমিক শতাংশ। পদ্মা সেতু’র ওপ’র দিয়ে প্রতিবছ’র কী পরিমাণ যানবাহন চলাচল ক’রবে, তা নিয়ে ২০০৯ সালে একটি বিস্তারিত সমীক্ষা করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এতে দেখা যায়, ২০২২ সালে’র শুরুতে যদি পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়, তাহলে ওই বছ’র প্রতিদিন সেতু দিয়ে চলাচল ক’রবে প্রায় ২৪ হাজা’র যানবাহন। ২০৫০ সালে যা দাঁড়াবে প্রায় ৬৭ হাজা’র। সেতু বিভাগে’র কর্মকর্তারা বলছেন, পদ্মা সেতু চালু হলে পণ্যবাহী যানবাহনে’র একটা বড় অংশ হবে ভা’রতে’র। দেশটি’র পশ্চিমাংশ থেকে পূর্বাংশে মাল পরিবহন হবে এই পথে। নেপাল ভুটানকেও সেতুটি যুক্ত ক’রতে পা’রবে। এতে আন্তঃবাণিজ্য বাড়বে। পদ্মা সেতু চালু’র প’র এ’র পূর্ণ সদ্ব্যবহা’র এবং দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে’র আর্থসামাজিক উন্নয়নে গত এক দশকে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এ’র মধ্যে ঢাকা থেকে যশো’র পর্যন্ত রেললাইন বসাতে ৩৯ হাজা’র কোটি টাকা’র প্রকল্প চলমান আছে। ঢাকা থেকে ফরিদপুরে’র ভাঙ্গা পর্যন্ত সেতু’র দুই প্রান্তে ৫৫ কিলোমিটা’র দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ শেষ হয়েছে। সেতু চালু হলে সড়কপথে এই পথ পাড়ি দিতে ঘণ্টা লাগবে বলে স’রকা’র জানিয়েছে। এখন ফেরিতে পদ্মা পা’র হতেই - ঘণ্টা লাগে।

উড়ালপথে মেট্রোরেল দেখেছে ঢাকাবাসী রাজধানী’র উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দেশে’র প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পে’র কাজে’র সার্বিক অগ্রগতি ৭২.৯৯ শতাংশ। এই প্রকল্প দুই পর্বে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ’র মধ্যে উত্তরা থেকে আগা’রগাঁও অংশ আগামী বছরে’র ডিসেম্বরে চালু করা’র ঘোষণা দিয়েছে স’রকা’র। এই অংশে ভৌত কাজে’র অগ্রগতি ৮৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এই পথে চলাচলে’র জন্য কেনা ছয় সেট ট্রেন (এক সেটে ছয়টি কোচ) জাপান থেকে বাংলাদেশে এসেছে। ইতোমধ্যে এই ট্রেনে’র পরীক্ষামূলক (পা’রফর্মেন্স টেস্ট) চলাচল শুরু হয়েছে, যা চলবে ছয় মাস। এ’রপ’র তিন মাস ধরে চলবে সমন্বিত পরীক্ষামূলক (ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট) চলাচল। পরে’র পাঁচ মাসে চূড়ান্ত পরীক্ষামূলক চলাচল (ট্রায়াল রান) সম্পন্ন হবে। অর্থাৎ আগামী বছরে’র ডিসেম্বরে যাত্রী নিয়ে চলাচলে’র জন্য প্রস্তুত থাকবে ট্রেন। ২০১৮ সালে বুয়েটে’র করা এক সমীক্ষায় এসেছে, রাজধানীতে যানবাহনে’র ঘণ্টায় গতিবেগ গড়ে কিলোমিটা’র। অর্থাৎ হাঁটা গতি। ১২ বছ’র আগেও এই গতি ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটা’র। ঘণ্টা’র প’র ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকা’র ফলে যাত্রীদে’র মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে। এই চাপ আবা’র কাজ ক’রছে অন্যান্য রোগে’র উৎস হিসেবে। যানজটে’র কা’রণে শুধু ঢাকায় দৈনিক ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে, যা’র আর্থিক ক্ষতি বছরে প্রায় ৩৭ হাজা’র কোটি টাকা। এই পরিস্থিতিতে ঢাকা’র কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (এসটিপি) ২০২৪ সালে’র মধ্যে ঢাকায় তিনটি, ২০৩০ সালে’র মধ্যে ছয়টি পথে মেট্রোরেল চালু’র সুপারিশ করা হয়েছিল। এ’র মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পথটি’র নাম এমআ’রটি লাইন-৬। যা’র কাজ চলমান। বাকি পথগুলো’র নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন ক’রছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।

পানি’র নিচে কর্মযজ্ঞ কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রাম শহ’রকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। এক ভাগে ‘রয়েছে নগ’র বন্দ’র এবং অন্য ভাগে ‘রয়েছে ভারি শিল্প এলাকা। কর্ণফুলী নদী’র ওপ’র ইতোমধ্যে তিনটি সেতু নির্মিত হয়েছে। তবে তা যানবাহনে’র চাপ সামলাতে যথেষ্ট নয়। এ’র বাইরে কক্সবাজা’র পৃথিবী’র দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, একে ঘিরে পর্যটন বাড়ছে। এ’র মধ্যে মহেশখালীতে গভী’র সমুদ্রবন্দ’র অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। মাতা’রবাড়িতে চলছে গভী’র সমুদ্রবন্দ’র কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণকাজ। সব মিলিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া’র একটি হাব হিসেবে গড়ে তোলা’র পরিকল্পনা আছে। চট্টগ্রামে বে-টার্মিনাল হবে। কর্ণফুলী নদী’র এই দুই পাড়ে’র কর্মযজ্ঞ বিবেচনায় নিয়ে নদী’র তলদেশে টানেল নির্মাণে’র প্রকল্প নেয়া হয়, যা চট্টগ্রাম শহ’র আনোয়ারা উপজেলাকে যুক্ত ক’রবে। ২০১৪ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ চীনে’র স’রকারী পর্যায়ে সমঝোতা স্মা’রক সই হয়। নক্সা অন্যান্য কাজ শেষে ২০১৯ সালে’র ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেলে’র নির্মাণকাজ শুরু হয়। ব্যয় হচ্ছে ১০ হাজা’র ৩৭৪ কোটি টাকা। নির্মাণাধীন দেশে’র প্রথম টানেলে’র নামক’রণ করা হয়েছে জাতি’র জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু’র ‘রহমানে’র নামে। এটি দিয়ে যান চলাচল শুরু হলে ঢাকাসহ দেশে’র বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কক্সবাজা’র দক্ষিণ চট্টগ্রামগামী যানবাহনকে আ’র চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ ক’রতে হবে না। সিটি আউটা’র রিং রোড হয়ে টানেলে’র মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে’র মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পা’রবে। এতে চট্টগ্রাম শহরে যানবাহনে’র চাপ কমে যাবে। কর্ণফুলী টানেলে’র কাজে’র অগ্রগতি ৭৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এই টানেলটিতে দুটি টিউবে’র মাধ্যমে আসা-যাওয়া’র পথ আলাদা থাকবে। ইতোমধ্যে একটি টিউবে’র কাজ শেষ হয়েছে। অন্যটি’র কাজ চলমান আছে। চুক্তি অনুসারে, আগামী ডিসেম্বরে প্রকল্পে’র মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এ’র মধ্যেই কাজটি শেষ করা যাবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে ক’রছেন।

পা’রমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে’র যুগে বাংলাদেশ সেই ষাটে’র দশক থেকে দেশে’র মানুষ পা’রমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে’র কথা শুনে এলেও বাংলাদেশ পা’রমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে’র যুগে প্রবেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র হাত ধরে ২০১০ সালে। পাবনা’র ঈশ্ব’রদীতে দেশে’র ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এক লাখ ১২ হাজা’র কোটি টাকা ব্যয়ে দুই হাজা’র ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুত কেন্দ্রটি’র উৎপাদনে আসা’র কথা ‘রয়েছে ২০২৪ সালে। এছাড়া কক্সবাজারে’র মহেশখালী উপজেলা মাতা’রবাড়িতে চলছে এক হাজা’র ২০০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুত প্রকল্প নির্মাণে’র কাজ। এছাড়া শিল্পাঞ্চল এবং সমুদ্রবন্দ’র ঘিরে আ’রও তৈরি হচ্ছে বিদ্যুত কেন্দ্র, তেল সং’রক্ষণাগা’র, বিদেশ থেকে আমদানি করা প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), কয়লা, ত’রল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) খালাসে’র টার্মিনালসহ ৬৮টি প্রকল্প। এসব কাজে ব্যয় হতে পারে ৫৬ হাজা’র কোটি টাকা। প্রকল্পগুলো’র মধ্যে বিদ্যুত বিভাগে’র ২৩টি, জ্বালানি বিভাগে’র ছয়টি, ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল (এফএসআ’রইউ) প্রকল্প দুটি, নৌ মন্ত্রণালয়ে’র ৯টি, সড়ক সেতু বিভাগে’র আটটি, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে’র ৯টি করে প্রকল্প। এসব প্রকল্পে’র মধ্যে প্রধান হলো দেশে’র প্রথম গভী’র সমুদ্রবন্দ’র, যা গড়ে উঠছে মাতা’রবাড়িতে। গভী’র সমুদ্রবন্দ’র বিদ্যুত-জ্বালানি’র একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা ক’রছে জাপানে’র উন্নয়ন সংস্থা জাইকা। স’রকা’র আশা ক’রছে, মহেশখালী ঘিরে চলমান কর্মকা- শেষ হলে দেশে’র অর্থনীতি’র চেহারা পাল্টে যাবে।

সড়ক যোগাযোগ অর্থনীতি’র লাইফলাইন বলা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে। ১৯২ কিলোমিটা’র দীর্ঘ এই মহাসড়ককে চা’র লেনে উন্নীত করা’র দাবি’র পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক স’রকারে’র আমলে প্রকল্পটি’র কাজ শুরু হলেও দফায় দফায় সময় বাড়ছিল। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী’র কঠো’র নির্দেশনায় চীনা কোম্পানি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চা’র লেনে’র কাজ শেষ করে। যা’র ফলে মানুষ এখন কম সময়ে যাতায়াত পণ্য পরিবহন ক’রতে পা’রছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ চা’র লেন সড়ক পাল্টে দিয়েছে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা শে’রপুরে’র যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাস ্যাপিড ট্রানজিট বা বিআ’রটি, পায়রা নদী’র ওপ’র পায়রা সেতু, ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেন্ট, ক্রস-বর্ডা’র রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট, সাসেক সংযোগ সড়ক-, এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপু’র মহাসড়ক চা’র লেনে উন্নীতক’রণ ঢাকা-খুলনা (এন-) মহাসড়কে’র যাত্রাবাড়ী ইন্টা’রসেকশন থেকে (ইকুরিয়া-বাবুবাজা’র লিংক সড়কসহ) মাওয়া পর্যন্ত মহাসড়ক, কক্সবাজা’র থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটা’র মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ পাল্টে দিয়েছে মানুষে’র জীবনধারা। ২০৪১ সালে’র মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে’র কাতারে নিয়ে যেতে আধুনিক, নিরাপদ এবং পরিবেশবান্ধব পরিবহন যোগাযোগ অবকাঠামো’র ওপ’র জো’র দিচ্ছে স’রকা’র। গত ১০ বছরে’র হিসাবে দেখা গেছে, জনগণে’র যাতায়াত পণ্য পরিবহনে স্বস্তি আনতে ২৭৬ প্রকল্পে’র কাজ শেষ হয়েছে। নতুন করে আ’রও ৩৪১টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দেশে’র গুরুত্বপূর্ণ এক হাজা’র ১৪০ কিলোমিটা’র আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তক’রণ জেলা মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতক’রণ গুচ্ছ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। হয’রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দ’র থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে’র কুতুবখালী পর্যন্ত আট হাজা’র ৭০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ্যাম্পসহ ৪৬.৭৩ কিলোমিটা’র দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পে’র কাজ চলছে।

রেলপথ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ স’রকা’র প্রথম গুরুত্ব দেয় দীর্ঘদিনে’র অবহেলিত রেলপথে’র ওপ’র। ভা’রতে’র ঋণে আনা হয়েছে ইঞ্জিন, কোচ। নির্মাণ করা হয়েছে নতুন রেলপথ। রেলপথ উন্নয়নে ২০১৬-২০৪৫ মেয়াদে পাঁচ লাখ ৫৩ হাজা’র ৬৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ বছ’র মেয়াদী মাস্টা’র প্ল্যান নেয়া হয়েছে। রেলপথ সম্প্রসা’রণ, নতুন রেলপথ নির্মাণ সংস্কা’র, রেলপথকে ডুয়েল গেজে রূপান্ত’র, নতুন বন্ধ রেলস্টেশন চালু করা, নতুন ট্রেন চালু ট্রেনে’র সার্ভিস বৃদ্ধি করা এবং ট্রেনে’র কোচ সংগ্রহ অব্যাহত ‘রয়েছে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে’র কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৯০০ কিলোমিটা’র ডুয়েল গেজ ডাবল রেল ট্র্যাক নির্মাণ, এক হাজা’র ৫৮১ কিলোমিটা’র নতুন রেল ট্র্যাক নির্মাণ, এক হাজা’র ৫২৭ কিলোমিটা’র রেল ট্র্যাক পুনর্বাসন, ৩১টি লোকোমোটিভ সংগ্রহ, ১০০টি যাত্রীবাহী কোচ পুনর্বাসন এবং ২২২টি স্টেশনে’র সিগন্যালিং ব্যবস্থা’র মানোন্নয়নে’র পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। কুমিল্লা বা লাকসাম হয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ডাবল ট্র্যাক দ্রুতগতি’র রেললাইন নির্মাণ, ভাঙ্গা জংশন (ফরিদপু’র) থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দ’র পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ, নাভা’রন থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত এবং সাতক্ষীরা থেকে মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ এবং ঢাকা শহরে’র চা’রদিকে বৃত্তাকা’র রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে’র উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া মিয়ানমারে’র সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজা’র এবং রামু-মিয়ানমারে’র কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প শুরু হয় ২০১০ সালে’র জুলাই মাসে। ২০২২ সালে’র জুলাই পর্যন্ত প্রকল্পে’র মেয়াদ শেষ হওয়া’র কথা ‘রয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকে’র (এডিবি) অর্থায়নে ১৮ হাজা’র ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে’র প্রকল্পটি’র অগ্রগতি ৬১ শতাংশ। রেলপথ সৃষ্টিতে মাটি ভরাট শেষ করে এখন চলছে লাইন স্থাপনে’র কাজ। স’রকারে’র অগ্রাধিকা’র প্রকল্পে’র অন্যতম এই প্রকল্পে’র শ্রমিকরা প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা কাজ ক’রছেন। ফলে দোহাজারী-কক্সবাজা’র ১০০ কিলোমিটা’র রেলপথে’র বাস্তবায়ন কাজ এখন দৃশ্যমান।

নৌপথ ২০০১ হতে ২০০৮ অর্থবছ’র পর্যন্ত মোংলা বন্দ’র নানামুখী প্রতিকূলতা’র কা’রণে লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল। বন্দরে’র উন্নয়ন আধুনিকায়নে’র ফলে ২০০৯ সাল থেকে ঘুরে দাঁড়ায় মোংলা বন্দ’র। শুধু নদীমাতৃক দেশ হিসেবে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে’র ক্ষেত্রে নৌপথকে গুরুত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগ স’রকা’র নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। নৌদুর্ঘটনা হ্রাস নৌনিরাপত্তা বাড়ানো’র পাশাপাশি নৌপথে’র নাব্য বৃদ্ধি, নৌবন্দ’রগুলো’র উন্নয়ন সমন্বিত ড্রেজিং কার্যক্রম হাতে নিয়েছে স’রকা’র। ২৪ হাজা’র কিলোমিটা’র নৌপথে’র মধ্যে ২০ হাজা’র ৪০০ কিলোমিটা’র হারিয়ে গেছে। শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে ১১ হাজা’র কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩টি নৌপথ খননে’র কাজ চলছে। এক হাজা’র ২৭০ কিলোমিটা’র উদ্ধা’র প্রায় তিন হাজা’র এক’র জমি পুনরুদ্ধা’র করা হয়েছে। নদী’র তীরে ভূমি দখলমুক্ত রাখতে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ শীতলক্ষ্যা নদী’র তীরে ব্যাংক প্রটেকশনসহ ২০ কিলোমিটা’র ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। আ’রও ৫০ কিলোমিটা’র ওয়াকওয়ে নির্মাণে’র পরিকল্পনা ‘রয়েছে। অভ্যন্তরীণ নৌপথে’র ৫৩টি রুটে ক্যাপিটাল ড্রেজিং অন্যান্য নাব্য উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। দেশে’র সমুদ্রবন্দ’রগুলো’র পণ্য হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীতকরা’র লক্ষ্যে নতুন কনটেইনা’র টার্মিনাল, ওভা’রফ্লো কনটেইনা’র ইয়ার্ড, বে-টার্মিনাল, বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ জলযান সংগ্রহে’র পরিকল্পনা নিয়েছে স’রকা’র।

আকাশপথে’র উন্নয়ন দেশে’র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দ’রগুলো’র যাত্রী কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা’র মান এবং পরিধি বৃদ্ধি’র অংশ হিসেবে হয’রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজ চলমান। কক্সবাজা’র সৈয়দপু’র বিমানবন্দ’রকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরা’র কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। বাগে’রহাট জেলায় খানজাহান আলী বিমানবন্দ’র নির্মাণসহ যশো’র, সৈয়দপু’র বরিশাল বিমানবন্দ’র এবং রাজশাহী’র শাহ মখদুম বিমানবন্দরে’র সম্প্রসা’রণ নবরূপায়ণে’র পরিকল্পনা নিয়েছে স’রকা’র। এছাড়া হয’রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে’র তৃতীয় টার্মিনালে’র কাজ চলছে জোরেশোরে। ২৭ হাজা’র বর্গমিটা’র এলাকা নিয়ে তৈরি হচ্ছে আমদানি কার্গো টার্মিনাল। পাইলিংয়ে’র কাজ শেষ। এখন চলছে গ্রাউন্ডে’র কাজ। টার্মিনালে’র পাশাপাশি দুটি হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া পণ্য আমদানি ‘রফতানি’র জন্য দুটি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। আ’রও থাকবে গাড়ি পার্কিংয়ে’র জন্য তিনতলা ভবন। সব মিলিয়ে হয’রত শাহজালাল বিমানবন্দরে চলছে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ। প্রকল্প পরিচালক মাকসুদুল ইসলাম জানান, বিদেশ থেকে একজন যাত্রী হয’রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেই যাতে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভাল ধা’রণা পান, তৃতীয় টার্মিনালটি সেভাবেই তৈরি করা হচ্ছে। সব ধ’রনে’র সুবিধা থাকবে টার্মিনালে। 


শেয়ার করুন

-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top