সেবা ডেস্ক: প্রেমের টানে মেক্সিকোর পর তুর্কী’র কন্যা বাংলাদেশী ছেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলো। প্রেমিক হুমায়ুন কবিরের হাত ধরে তুরস্ক থেকে ময়মনসিংহে ছুটে এসেছেন আয়েশা ওজতেকিন নামে এক তরুণী।
জেলার মুক্তাগাছার হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে এখন তিনি বাংলার নববধূ।
শুক্রবার বিকেলে মুক্তাগাছা পৌর এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাঙালি আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় আয়েশা-হুমায়ুনের বিয়ের আয়োজন।
হুমায়ুন কবির জানান, রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর ২০১০ সালে স্কলারশিপ নিয়ে তুরস্কে পড়তে যান হুমায়ুন।
আনকারা শহরের হাজেত্তেপে ইউনিভার্সিটিতে মেডিসিন বিভাগে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন তিনি।
এরপর ২০১৮ সাল থেকে আনতালিয়া শহরের লাইফ হসপিটালে শুরু হয় তার কর্মজীবন ওই হাসপাতালেই প্রধান হিসাবরক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন তুর্কী তরুণী আয়েশা ওজতেকিন।
সেই চাকরির সুবাদে পরিচয় দুজনের। পরিচয় থেকেই প্রেম এবং অবশেষে দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে।
তিনি বলেন, প্রেম এবং বিয়ের ক্ষেত্রে আয়েশার আগ্রহটাই বেশি ছিল। আসলে এমন কিছুর জন্য তো কোনো পরিকল্পনা থাকে না।
দেশের বাইরের অন্য আরেকজনের সঙ্গে প্রেম-সম্পর্ক-বিয়ের বিষয়টি অবশ্যই একটু রিস্কি ব্যাপার। তবে তার যেহেতু আগ্রহটা বেশি ছিল বা সে-ই এগিয়ে এসেছে সেহেতু আমিও তাতে সাড়া দিয়েছি।
তুর্কী কন্যা আয়েশা ওজতেকিন বলেন, প্রথমত বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় অনেক নরম। তাদের মাঝে ভালোবাসাটা একটু বেশি, অনেক আবেগী তারা।
এ কারণে আমি হুমায়ুনের প্রতি আকৃষ্ট হই। তার গুণ বলে শেষ করা যাবে না। আমি তাকে খুব ভালোবাসি।
হুমায়ুন কবির ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌর এলাকার হাসান আলী ও হোসনে আরা দম্পতির ছেলে। আর আয়েশা ওজতেকিন তুরস্কের আনতালিয়া শহরের মাহমুদ ওজতেকিন ও সেফদা ওজতেকিন দম্পতির মেয়ে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।