সেবা ডেস্ক: বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলে’র দাম কমায় বাংলাদেশেও কমানো’র আভাস দিয়েছেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
- জামালপুরে ফেরী দিয়ে নদী পার হতো রেল, যা শুনে অবাক হয়েছে বিশ্ব
- অবশেষে শিক্ষার্থীদের জন্য গণপরিবহনে হাফ ভাড়া কার্যকর
- শিপ ব্রেকিংয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এক নম্বরে
- বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশেই সম্ভব: বিএমএ
- পাটের স্যানিটারি প্যাড ম্যাশিন বানিয়ে আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতলেন ফারহানা
এ’র প্রভাবে দেশে’র সব ধ’রনে’র পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয়।
শনিবা’র হয় সবচেয়ে বড় দ’রপতন। এক দিনে’র ব্যবধানে দাম ব্যারেল প্রতি ১০ ডলা’র ২২ সেন্ট বা ১৩ শতাংশে’র বেশি কমে ৬৮ ডলারে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: বকশীগঞ্জে ধর্ষণের শিকার তরুনীর সন্তান প্রসব, ধর্ষক গ্রেপ্তার
শনিবা’র
প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টা’রমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেল ৬৮ ডলা’র
১৭ সেন্টে বিক্রি হয়েছে। এটা আগে’র দিনে’র
চেয়ে ১০ ডলা’র ২২
সেন্ট বা ১৩ দশমিক
০৪ শতাংশ কম।
করোনাভাইরাসে’র নতুন ধ’রন শনাক্ত হওয়া’র প’রই হঠাৎ করে জ্বালানি তেলে’র এই বড় দ’রপতন হয়েছে।
‘রয়টার্স জানিয়েছে, কোভিড-১৯-এ’র এই
নতুন ধ’রনে’র কা’রণে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলে’র দাম আ’রও কমে
যেতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনা’র এই নতুন ধ’রনে’র কা’রণে বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন করে সংকট দেখা দিতে পারে। কমে যেতে পারে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।
তা’র ফলে বিশ্ববাজারে
জ্বালানি তেলে’র চাহিদাও কমে যেতে পারে।
আ’র এই ভয়েই তেলে’র
দামে বড় পতন হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা’র স্বাস্থ্যমন্ত্রী’র মতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘ওমিক্রন’ নামে করোনা ভাইরাসে’র নতুন যে ধ’রন শনাক্ত করেছে তা এখন উদ্বেগে’র কা’রণ।
সেই উদ্বেগ থেকেই
প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলে’র মূল্য এক দিনে’র ব্যবধানে
১৩ শতাংশে’র বেশি কমেছে।
এ’র
আগে তেলে’র দাম ব্যারেলপ্রতি ৮৫
ডলা’র ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টা’রমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ও ব্রেন্ট অপরিশোধিত
তেলে’র দাম গত ছয়
সপ্তাহে’র মধ্যে সবচেয়ে কম।
শনিবা’র
বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেল বিক্রি হয়েছে
৭৩ ডলা’র ৮১ সেন্টে, যা
আগে’র দিনে’র চেয়ে ১০ দশমিক
২৩ শতাংশ কম।
২০২০
সালে’র ডিসেম্ব’র মাস থেকে বিশ্ববাজারে
জ্বালানি তেলে’র দাম বাড়তে শুরু
করে। করোনা মহামারি’র মধ্যেও টানা বেড়েছে তেলে’র
দাম। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায়
তা আ’রও ঊর্ধ্বমুখী হয়।
গত ২৭ অক্টোব’র অপরিশোধিত জ্বালানি তেলে’র দাম প্রতি ব্যারেল ৮৫ ডলা’র ছাড়িয়ে ৮৫ দশমিক ০৭ ডলারে ওঠে। এ’রপ’র থেকেই তা কমতে থাকে।
৮
নভেম্ব’র এ’র দ’র ছিল
৮২ দশমিক ৫ ডলা’র। এক
মাস আগে ১৬ অক্টোব’র
দাম ছিল ৮০ ডলা’র।
আ’র এক বছ’র আগে
২০২০ সালে’র ডিসেম্বরে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলে’র দাম ছিল ৪২
ডলা’র।
প্যারিসভিত্তিক
ইন্টা’রন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি বা আন্তর্জাতিক জ্বালানি
সংস্থা (আইইএ) গত জুলাইয়ে’র শুরুতে
এক পূর্বাভাসে বলেছিল, করোনা ভাইরাসে’র প্রকোপ আবা’র বাড়তে শুরু করায় বিশ্ববাজারে
তেলে’র চাহিদা আগামী বছরে’র শেষে’র দিকে আগে’র অবস্থায়
ফিরে যাবে।
আইইএ'‘র মতে, চলতি
বছ’র বিশ্ববাজারে তেলে’র চাহিদা মোটামুটি বাড়বে। তবে আগামী বছ’র
জ্বালানি তেলে’র দৈনিক চাহিদা বেড়ে ১০ কোটি
৬ লাখ ব্যারেলে উন্নীত
হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে’র বহুজাতিক বিনিয়োগ কোম্পানি ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাক্সও মাস তিনেক আগে তাদে’র এক প্রতিবেদনে বলেছিল, কোভিড-১৯-এ’র কা’রণে বৈশ্বিক স’রবরাহ ব্যবস্থায় যে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছিল তা দূ’র হচ্ছে।
পাশাপাশি দেশে দেশে অর্থনৈতিক
পুনরুদ্ধারে’র প্রক্রিয়া গতি পেয়েছে। ফলে
বিশ্ববাজারে তেলে’র দাম বাড়ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে এ বছরে’র জানুয়ারি মাসে জ্বালানি তেলে’র দাম ছিল গড়ে প্রতি ব্যারেল ৪৯ ডলা’র।
এ’রপ’র থেকে গড়ে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলে’র দাম ছিল ফেব্রুয়ারি মাসে ৫৩ ডলা’র, মার্চে ৬০, এপ্রিলে ৬৫, মে মাসে ৬৪, জুনে ৬৬ , জুলাইয়ে ৭৩ এবং আগস্টে ৭৪ ডলা’র।
অক্টোব’র মাসে এই দাম
৮৫ ডলা’র ছাড়িয়ে যায়। ধা’রণা করা
হচ্ছিল, শিগগি’রই তা ১০০ ডলা’র
হয়ে যেতে পারে।
তবে
চলতি নভেম্ব’র থেকে দাম নিম্নমুখী
হয়। তা’রপ’রও দামটা নিয়ন্ত্রণে আসছিল না। এ অবস্থায়
জ্বালানি তেলে’র দাম কমিয়ে আনতে
নিজ দেশে’র পেট্রোলিয়াম ভান্ডা’র থেকে পাঁছ কোটি
ব্যারেল তেল বাজারে ছাড়া’র
ঘোষণা দেন বিশ্বে’র সবচেয়ে
বড় অর্থনীতি’র দেশ যুক্তরাষ্ট্রে’র প্রেসিডেন্ট
জো বাইডেন।
গত ২৩ নভেম্ব’র টুইট বার্তায় বাইডেন ঘোষণা দেন, ‘আমেরিকান পরিবা’রগুলো’র জন্য তেল ও গ্যাসে’র দাম কমাতে পদক্ষেপে’র কথা আজ ঘোষণা ক’রছি।
আমেরিকাবাসী’র জন্য স্ট্র্যাটেজিক পেট্রোলিয়াম
রিজার্ভ (এসপিআ’র) থেকে পাঁচ কোটি
ব্যারেল তেল ছাড়ব আমরা,
যাতে তেল ও গ্যাসে’র
দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসে।’
দেশে তেল ও গ্যাসে’র মতো জ্বালানি’র ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি রুখতে এই পদক্ষেপ নেন জো বাইডেন। এ’র জেরে সে দেশে জ্বালানি’র দাম কমবে বলে মনে করা হচ্ছিল।
পাশাপাশি
বিশ্বজুড়ে জ্বালানি’র দামেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে ক’রছিলেন
অনেকে।
তবে, বাইডেনে’র এই ঘোষণা’র প’র বিশ্ববাজারে তেলে’র দাম খুব একটা কমেনি।
ভালো খবর
উত্তরমুছুনgood news
উত্তরমুছুন