সেবা ডেস্ক: মুসলিম উম্মাহ’র সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় আখেরি মোনাজাতে’র মধ্যে দিয়ে শেষ হলো রংপু’র আঞ্চলিক ইজতেমা।
মহান সৃষ্টিকর্তা’র কাছে চোখে’র জলে নিজেদে’র পাপ মুক্তিসহ বিশ্ব মুসলিমে’র মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনায় অংশ নেন প্রায় সোয়া লাখ মুসল্লি। শনিবা’র (২৭ নভেম্ব’র) দুপু’র ১২টা ৬ মিনিটে শুরু হয় মোনাজাত, শেষ হয় ১২টা ১৭ মিনিটে।
মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল আহলে শুরা’র সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ মোশা’রফ হোসেন। এ’র আগে ফজরে’র নামাজে’র প’র আম বয়ান শুরু হয়।
পরে হেদায়েতি বয়ান শেষে আখেরি মোনাজাত হয়। এ বছ’র রংপু’র নগরী’র উত্তম হাজী’রহাট এলাকায় রংপু’র-সৈয়দপু’র মহাসড়কে’র পাশে ঘাঘট নদী’র কোল ঘেষে ‘রহমতে’র চরে তিন দিনব্যাপী এ ইজতেমা’র আয়োজন করা হয়েছিল।
এদিকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আগে’র দিন রাত থেকেই রংপু’র জেলাসহ আশপাশে’র জেলা’র বিভিন্ন এলাকা’র তাবলিগ জামাতে’র অনুসারীরা ইজতেমাস্থলে পৌঁছান।
এছাড়াও শনিবা’র ভো’র থেকে রংপুরে’র বিভিন্ন এলাকা’র লোকজন দলে দলে ইজতেমা ময়দানে আসেন।
পিকআপ ভ্যান, থ্রি-হুইলা’র অটোরিকশা, কা’র-মাইক্রোবাসা, মোট’রসাইকেলে যে যেভাবে পারেন শীতে’র তীব্রতা উপেক্ষা করে ছোটেন ইজতেমাস্থলে’র দিকে।
বেলা ১১টা’র মধ্যে ঘাঘট নদী’র তীরে লাখ মানুষে’র সমাবেশ ঘটে। ইজতেমা মাঠে’র মূল মঞ্চ থেকে আশপাশে’র সব জায়গা মুসল্লিদে’র আগমনে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
রংপু’র নগরী’র ৩৩টি ওয়ার্ডসহ জেলা’র আট উপজেলা’র তাবলিগ জামাতে’র অনুসারীসহ বিভিন্ন এলাকা’র ধর্মপ্রাণ মানুষ এতে অংশ নেন।
মোনাজাতে’র সময় অনেককে মাঠে’র আশপাশে’র রাস্তা, অলি-গলি, বিভিন্ন বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভবনে’র ছাদে অবস্থান ক’রতে দেখা গেছে।
আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিদে’র আসা-যাওয়া নিরাপদ ক’রতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা ‘রক্ষাকারী বাহিনী’র সদস্যরা।
ইজতেমা আয়োজক কমিটি’র সদস্য হাফিজু’র ‘রহমান হাফিজ জানান, বিশ্ব ইজতেমা’র ওপ’র চাপ কমাতে জেলাভিত্তিক আঞ্চলিক ইজতেমা হয়ে আসছে।
এ’রই ধারাবাহিকতায় রংপুরে ৬ষ্ঠ বারে’র মতো অনুষ্ঠিত হলো এ ইজতেমা। গত বৃহস্পতিবা’র বাদ ফজ’র বয়ানে’র মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমা’র কার্যক্রম।
তিনি আ’রও জানান, ইজতেমায় বয়ান ক’রতে সৌদি আ’রব, আফ্রিকা, নাইজেরিয়া ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশে’র বিভিন্ন এলাকা থেকে তাবলিগে’র মু’রব্বিরা আসেন।
এবা’র রংপু’র ইজতেমা থেকে ইসলাম, ঈমান, আমলে’র শিক্ষা ও আল্লাহ’র দ্বীন প্রচারে’র উদ্দেশ্যে প্রায় শতাধিক জামাত বে’র হবে।
এসব জামাতে’র সাথীরা এক চিল্লা (৪০ দিন) এবং তিন চিল্লা (১২০) পূর্ণ করা’র নিয়ত করেছেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।